জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকো শুক্রবার ব্রাজিলিয়ান ফুটবলার ভিনিসিয়ুস জুনিয়রকে নিজেদের ‘সবার জন্য শিক্ষা’ কার্যক্রমের শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত করেছে। ইউনেসকোর প্রতিনিধি হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় রিয়াল মাদ্রিদের ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড বলেছেন, এই দায়িত্ব পাওয়া তাঁর জন্য ‘সম্মানের চেয়েও বেশি কিছু’।
‘ফুটবলের রাজা’খ্যাত প্রয়াত পেলের পর দ্বিতীয় ব্রাজিলিয়ান হিসেবে ইউনেসকোর শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত হলেন ভিনিসিয়ুস। ১৯৯৪ সালে ইউনেসকোর শুভেচ্ছাদূত নিযুক্ত হয়েছিলেন ব্রাজিলের হয়ে তিনবার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তি। ২০২২ সালের ২৯ ডিসেম্বর তিনি মারা যান।
মাদ্রিদের অনুশীলন মাঠে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভিনিসিয়ুস বলেছেন, ‘এটি এমন একটি অর্জন ও দায়িত্ব, যা আমি নিজের সঙ্গে সারা জীবন বহন করব। অবশ্যই আমি সেরা খেলোয়াড় হিসেবে পরিচিত হতে চাই। তবে এমন একজন মানুষ হিসেবেও পরিচিত হতে চাই, যে কিনা পার্থক্য তৈরির চেষ্টা করেছে।’
ইউনেসকোর মহাপরিচালক অদ্রে আজুলে বলেছেন, ভিনিসিয়ুস শুধু একজন অনন্যসাধারণ খেলোয়াড়ই নন, পাশাপাশি তিনি ব্রাজিলে সবার জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ নিশ্চিত করার কাজেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একজন মানুষ।
ব্রাজিলে শিক্ষার উন্নয়নে কয়েক বছর ধরে কাজ করছেন ভিনিসিয়ুস। নিজের সেই কার্যক্রমের কথা তিনি তুলে ধরেছেন এভাবে, ‘শিক্ষার জন্য আমি ১৯ বছর বয়স থেকে লড়াই করছি। ব্রাজিলে আমার প্রতিষ্ঠানগুলো বিকশিত হচ্ছে। ইউনেসকোকে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ। আমরা এখন পুরো বিশ্বে ইতিবাচক প্রভাব রাখতে পারব।’ ২০২১ সালে এই উইঙ্গারের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র ইনিস্টিটিউট। এই প্রতিষ্ঠান ব্রাজিলের সুবিধাবঞ্চিত শিশু-কিশোরদের স্কুলে ফিরিয়ে আনার কাজে নিয়োজিত।
শুধু শিক্ষার প্রসারেই নয়, ভিনিসিয়ুস লড়াই করছেন বর্ণবাদের বিরুদ্ধেও। মাঠে ভিনি নিজেই একাধিকবার সরাসরি বর্ণবাদী আক্রমণের শিকার হয়েছেন। তবে নিজের সঙ্গে হওয়া অন্যায়ের পাশাপাশি ফুটবলের যেকোনো পর্যায়ে বর্ণবাদী আক্রমণের বিরুদ্ধে সরব ভূমিকা নিতে দেখা যায় তাঁকে।