ইউরোপের সঙ্গে দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনাটা নতুন কিছু নয়। কেউ বলেন, দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল অনিন্দ্যসুন্দর। তবে এ সময়ের লাতিন ফুটবল দেখে কেউ আবার বলেন, তাদের ফুটবল জৌলুশ হারিয়েছে, রয়ে গেছে আদিযুগে। ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে এই দলে।
বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগে এমবাপ্পে ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনা করতে গিয়ে দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের পিছিয়ে থাকার কথাই বলেছিলেন। তখনই অনেক লাতিন ফুটবলার এই কথার প্রতিবাদ করেছেন। বিশ্বকাপে ফাইনালে আর্জেন্টিনার কাছে হারার পর আবারও সেই কথা নিয়ে খোঁচা শুনতে হলো এমবাপ্পেকে।
কাতার বিশ্বকাপের আগে শেষবার ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দল। এরপর বিশ্বকাপ ফুটবল দেখেছে ইউরোপিয়ানদের রাজত্ব। এমবাপ্পে আজ ২৪ বছরে পা দিয়েছেন।
স্বাভাবিকভাবেই ফুটবলে ইউরোপিয়ানদের রাজত্বটাই দেখে এসেছেন তিনি। তাই ইউরোপ আর দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবলের তুলনায় তিনি বলেছিলেন, ‘ইউরোপের ফুটবল যতটা এগিয়েছে, যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ততটা এগোতে পারেনি দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল। সে কারণেই শেষ বিশ্বকাপগুলোয় কেবল ইউরোপের দলগুলোই জিতেছে।’
বিশ্বকাপ ফাইনালে অবশ্য এমবাপ্পে যা করেছেন, ইউরোপিয়ান ফুটবলের পতাকা ওড়ানোর সব যোগ্যতা তাঁর আছে, সেটা নিশ্চিত। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে শেষ পর্যন্ত শিরোপা হয়তো জিততে পারেননি, তবে ফাইনালে হ্যাটট্রিকসহ ৮ গোল করে সোনালি বুট জিতেছেন এই তারকা।
তাতে কী, ওই যে শিরোপা তো আর জিততে পারেননি। সেই সুযোগটাই নিয়েছেন চিলির মিডফিল্ডার আর্তুরো ভিদাল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বার্সেলোনায় মেসির সাবেক সতীর্থ ভিদাল দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবলের কাছ থেকে এমবাপ্পেকে ফুটবল শিখতে বলেছেন, ‘লাতিনদের কাছ থেকে ফুটবলটা শেখো, যারা ফুটবলটা আবিষ্কার করেছে।’
ভিদাল চিলির হয়ে ম্যাচ খেলেছেন ১৩৬টি। খেলেছেন বায়ার্ন মিউনিখ, বার্সেলোনার মতো ক্লাবে। বর্তমানে খেলছেন ব্রাজিলিয়ান ক্লাব ফ্ল্যামেঙ্গোতে।