মাঠে ব্রাজিল ফুটবল দলের খেলা আকর্ষণ হারালেও মাঠের বাইরের চিত্র কিন্তু তেমন নয়। মাঠের বাইরে প্রতিনিয়ত জমে উঠছে নাটক। এর মধ্যে ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) পদ নিয়েই গত এক মাসে ঘটে গেছে অনেক ঘটনা। ডিসেম্বরের শুরুতে আদালতের নির্দেশে সরিয়ে দেওয়া হয় সিবিএফ সভাপতি এনদালদো রদ্রিগেজকে।
এক মাসের মধ্যে নতুন সভাপতি নির্বাচনের জন্য একজন প্রশাসকও নিয়োগ দেওয়া হয়। তবে এখন এসে ঘটনা নতুন মোড় নিয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্ষমতাচ্যুত সভাপতিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে নিম্ন আদালতের দেওয়া রায় স্থগিত হয়েছে এবং ক্ষমতাচ্যুত হওয়া সভাপতি এনদালদো রদ্রিগেজ আগের দায়িত্বে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছেন।
এর আগে রদ্রিগেজকে সরানোর পর ডিসেম্বরের শেষ দিকে চিঠি পাঠিয়ে সিবিএফকে সতর্ক করে ফিফা ও দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন (কনমেবল)। সেই সতর্কবার্তায় বলা হয়, এ দুটি সংস্থার গঠন করা কমিশন সিবিএফ পরিদর্শনের পরই কেবল নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করা যাবে। একই সঙ্গে সিবিএফকে নিষিদ্ধ করার হুমকিও দেয় ফিফা ও কনমেবল।
সিবিএফের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ সভাপতি রদ্রিগেজকে সাম্প্রতিক সময়ে আইনি দ্বন্দ্ব, জাতীয় দলের বাজে পারফরম্যান্স ও রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তির নিয়োগ নিয়ে সমালোচনার মুখে ছিলেন। তাঁকে পুনর্বহালের আদেশ দিয়ে বিচারক গিলমার মেন্দেস রায়ে লিখেছেন, ‘আমি রিও ডি জেনিরো কোর্ট অব জাস্টিসের দেওয়া রায়ের প্রভাবকে স্থগিত করছি। পাশাপাশি ২০২২ সালের ২৩ মার্চ সিবিএফের সাধারণ পরিষদ দ্বারা নির্বাচিত নেতৃত্বকে তাৎক্ষণিকভাবে পুনর্বহালের আদেশ দিচ্ছি।’
অস্থায়ী আদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হবে, তবে মেন্ডেসের প্রাথমিক রায়কে ব্রাজিলের শীর্ষ আদালতের অন্য ১০ সদস্য বিশ্লেষণ করে চূড়ান্ত রায়ের তারিখ নির্ধারণ করবেন। আদালতের এ রায় আরেকটি দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। সিবিএফে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের ঘটনার তদন্ত করতে চার দিন পরই ফিফা ও কনমেবল কর্মকর্তাদের আসার কথা রয়েছে। বৃহস্পতিবার ব্রাজিলের অ্যাটর্নি জেনারেল পাউলো গোনেট এবং সলিসিটর-জেনারেল অফিসও প্রকাশ্যে রদ্রিগেজকে তাঁর দায়িত্বে ফিরিয়ে আহ্বান জানিয়েছিল।
এদিকে আদালতের সিদ্ধান্তে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ পাওয়া জোসে পেরদিজকেও এখন সরে যেতে হবে। তবে বার্তা সংস্থা এপির পক্ষ থেকে পেরদিজ ও এনদালদোর মুখপাত্রর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২০২১ সালে অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে প্রথম দায়িত্ব নেন রদ্রিগেজ। পূর্বসূরি রগ্রিও কাবোকলো যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ছাঁটাই হওয়ার পর দায়িত্ব পান রদ্রিগেজ। সিবিএফ সভাপতি হিসেবে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ আছে রদ্রিগেজের।