সন্তানের খেলা দেখতে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে গিয়েছিলেন আলফি হলান্ড। বাবার নামেই নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন ছেলেটা কে। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের মাঠে ছেলের খেলা দেখতে গিয়ে সুখকর অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরতে পারেননি আলফি।
না, রিয়ালের সঙ্গে ম্যানচেস্টার সিটি জিততে পারেনি সে জন্য নয়। তাঁর ছেলে আর্লিং হলান্ড গোল করতে পারেননি, সেটাও কোনো কারণ নয়। বার্নাব্যুর করপোরেট বক্স থেকে যে আলফিকে বের করে দেওয়া হয়েছে!
খোলাসা করে বলা যাক। চ্যাম্পিয়নস লিগ সেমিফাইনাল প্রথম লেগে কাল রিয়ালের মাঠে ১-১ গোলে ড্র করে সিটি। ম্যাচটি দেখতে বার্নাব্যুর করপোরেট বক্সে বসেন সিটি, নটিংহাম ফরেস্ট এবং লিডসের সাবেক খেলোয়াড় আলফি হল্যান্ড। বক্সের ঠিক সামনে বসেছিলেন রিয়ালের সমর্থকেরা।
স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম ‘মার্কা’ ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেইল অনলাইন’ জানিয়েছে, সামনে বসা রিয়ালের সেসব সমর্থকের সঙ্গে ভালো আচরণ করেননি আলফি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘মেট্রো’ জানিয়েছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ফুটেজে দেখা যায়, করপোরেট বক্সে রিয়ালের এক সমর্থকের সঙ্গে তর্ক করছিলেন আলফি হলান্ড। তাঁর সামনে একটু নিচে বসে থাকা রিয়ালের সমর্থকেরা ‘আদিওস’ (বিদায়) বলে স্লোগান ধরেন।
মেইল অনলাইন জানিয়েছে, রিয়াল সমর্থকদের স্লোগান কান পেতে শোনার ইশারা করার আগে তাঁদের প্রতি অশালীন ইঙ্গিতও করেন ৫০ বছর বয়সী আলফি। স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের দাবি, দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর পর রিয়াল সমর্থকদের দিকে বাদামও ছুড়ে মেরেছেন এই নরওয়েজিয়ান।
সেখানে থাকা কয়েকজন রিয়াল সমর্থকের সঙ্গে কথা বলে ‘মার্কা’ জানিয়েছে, আলফি হলান্ড স্বাগতিক সমর্থকদের স্ট্যান্ডে বাদাম ছুড়ে মেরেছেন এবং অশালীন ইঙ্গিত করেন। এরপর আর বক্সে থাকতে পারেননি আর্লিং হলান্ডের বাবা। নিরাপত্তাকর্মীরা এসে তাঁকে এবং তাঁর সহযোগীকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে বক্স থেকে বের করে দেন।
প্রকাশ হওয়া ভিডিওতে নিরাপত্তাকর্মীদের আলফি হলান্ডের সঙ্গে কথা বলতে দেখা গেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলফি হলান্ড এ বিষয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করেছেন, ‘কেভিন ডি ব্রুইনার গোল উদ্যাপন করছিলাম আমরা। রিয়াল মাদ্রিদ (সমর্থক) তাতে খুশি হতে পারেনি। আমাদের চলে আসতে হয় কারণ, ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় রিয়াল সমর্থকেরা খুশি হতে পারেনি।’