ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন
ব্রাজিলের গোলরক্ষক অ্যালিসন

২০২২ সালে জাল অক্ষত রাখায় সবচেয়ে এগিয়ে দুই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক

২০২২ সাল ব্রাজিলের জন্য খুব ভালো যায়নি। বিশেষ করে বিশ্বকাপ জয় যখন ব্রাজিলের সাফল্যের মানদণ্ড, সেখানে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ফিরে আসা তো চূড়ান্ত ব্যর্থতায়। তবে দল ব্যর্থ হলেও ব্যর্থ নন দুই ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক আলিসন ও এদেরসন। গত বছর জাল অক্ষত রাখায় এ দুজন ছিলেন সবার ওপরে।

৬২ ম্যাচে মাঠে নেমে ২৯টিতে কোনো গোল হজম করেননি অ্যালিসন। লিভারপুলের এই গোলরক্ষক বিশ্বকাপে ব্রাজিলের গোলপোস্টও সামলেছিলেন, তবে কোয়ার্টার ফাইনালে পেনাল্টি শুটআউটে কোনো শট ঠেকাতে পারেননি। তাই ব্রাজিলও আর সেমিফাইনালে উঠতে পারেনি।

ম্যানচেস্টার সিটির মূল গোলরক্ষক হলেও বিশ্বকাপে বেশির ভাগ সময় বেঞ্চেই কাটাতে হয়েছিল এদেরসনকে। গত বছর সব মিলিয়ে তিনি গোলবারের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন ৪৮ ম্যাচে। যেখানে ২৪টিতে কোনো গোল হজম করেননি এই গোলরক্ষক।

জাল অক্ষত রাখায় পরের নামটি অবশ্য বেশ চমক জাগানোর মতোই। বলছি রিয়াল সোসিয়েদাদের স্প্যানিশ গোলরক্ষক অ্যালেক্স রেমিরোর কথা। ৪৪ ম্যাচে পোস্টের নিচের দাঁড়িয়ে তিনি গোল হজম করেননি ২২ ম্যাচে। বার্সেলোনার জার্মান গোলরক্ষক টের স্টেগেন ৫০ ম্যাচে পোস্টের নিচের দাঁড়িয়ে ২১টিতে কোনো গোল খাননি।

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ

এই তালিকায় বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টিনার গোলরক্ষকেরা অবশ্য একটু পিছিয়েই আছেন। ফাইনালে শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচানো এবং টাইব্রেকারে পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দলের শিরোপা জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছিলেন এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। জিতেছেন বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার গোল্ডেন গ্লাভসও।

তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, ২০২২ সালে আর্জেন্টিনার সফল গোলরক্ষক কিন্তু তিনি নন। গত বছর আর্জেন্টিনার সবচেয়ে সফল গোলরক্ষক ছিলেন গেরোনিমো রুলি। ২৬ জনের বিশ্বকাপের স্কোয়াডে থাকলেও বিশ্বকাপে এক মিনিটের জন্যও মাঠে নামা হয়নি ভিয়ারিয়ালের এই গোলরক্ষকের।

২০২২ সালে রুলি সব মিলিয়ে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছেন ৩৯ ম্যাচে। যার ১৭টিতেই কোনো গোল হজম করেননি এই গোলরক্ষক। মার্তিনজেও অবশ্য রুলির সমান ১৭ ম্যাচে জালে বল জড়াতে দেননি। তবে রুলির চেয়ে ৯ ম্যাচ বেশি খেলেছেন অ্যাস্টন ভিলা গোলরক্ষক।

এই দুজনের মতো সমান ১৭ ম্যাচে জাল অক্ষত রেখেছেন আরও দুই গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া ও ইয়াসিন বুনু। তবে এই দুজন রুলি ও মার্তিনেজের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। কোর্তোয়া ৪৯ ম্যাচ এবং বুনুর খেলতে হয়েছে ৫২ ম্যাচ। এই চারজনের পর ৩৬ ম্যাচের ১৬টিতে কোনো গোল না খেয়ে তালিকায় আছেন হেতাফের স্প্যানিশ গোলরক্ষক দাভিদ সোরিয়া।