বিশ্বকাপ দিয়েই মূলত আলোচনায় আসেন আর্জেন্টিনার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। তবে আলোচনায় ভিন্ন এক মাত্রা পায় ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের পর। সেদিন শেষ মুহূর্তে গোল বাঁচানো, টাইব্রেকারে পেনাল্টি ঠেকানো এবং বুনো উদ্যাপন—সবকিছু নিয়েই আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন এই গোলরক্ষক।
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষক হিসেবে জিতেছেন গোল্ডেন গ্লাভের পুরস্কারও। তবে ফাইনালে মার্তিনেজের কাণ্ডকারখানা নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি।
পেনাল্টি নেওয়ার সময় ফ্রান্সের খেলোয়াড়দের মনোযোগ নষ্ট করা জন্য উত্ত্যক্ত করা, গোল্ডেন গ্লাভের পুরস্কার হাতে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি করা এবং এমবাপ্পের পুতুল হাতে নিয়ে উদ্যাপন করা নিয়েও ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল এই গোলরক্ষককে। বিশ্বকাপ শেষে আর্জেন্টিনা দলের আচরণ নিয়ে আসা অভিযোগের তদন্তও শুরু করে ফিফা।
এর মধ্যে পেনাল্টির সময় প্রতিপক্ষের মনোযোগ নষ্টে মার্তিনেজের আচরণকে গুরুত্বসহকারে নিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন বোর্ড (আইএফবিএ)। ফুটবলের বিধি প্রণয়নের দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি পেনাল্টি-সংক্রান্ত নিয়মে পরিবর্তন আনার উদ্যোগ নিয়েছে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী পেনাল্টি শট নেওয়ার সময় গোলরক্ষক সময় নষ্ট করতে পারবেন না। ১ জুলাই থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে আইএফবিএ।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী গোলরক্ষককে অবশ্যই গোলপোস্টের নির্দিষ্ট লাইনের মধ্যে থাকতে হবে। নিয়মবহির্ভূতভাবে গোলরক্ষক এমন কোনো আচরণ করতে পারবেন না, যা পেনাল্টি শট নিতে আসা প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মনোযোগ নষ্ট করে।
গোলরক্ষক পেনাল্টি নেওয়ার মুহূর্তে অযথা সময়ও নষ্ট করতে পারবে না। এ ছাড়া গোলরক্ষক পোস্ট, ক্রসবার ও জালও স্পর্শ করতে পারবে না। সব মিলিয়ে নতুন এ নিয়ম কার্যকর হলে পেনাল্টি নেওয়ার সময় গোলরক্ষকের গতিবিধি বেশ সীমিতই হয়ে পড়বে বলা যায়।
মার্তিনেজ অবশ্য শুধু বিশ্বকাপেই নয়, ২০২১ সালের কোপা আমেরিকাতেও পেনাল্টি নেওয়ার সময় প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের মনোযোগে বিঘ্ন ঘটিয়ে আলোচনায় এসেছিলেন।