কাতার বিশ্বকাপের বেদনাদায়ক স্মৃতি এখনো নিশ্চয়ই তাড়া করে বেড়ায় নেইমারকে? কোয়ার্টার ফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে গোল করেও দলকে জেতাতে পারেননি এই ব্রাজিলিয়ান তারকা। টাইব্রেকারে হেরে বিদায় নিতে হয় ব্রাজিলকে। সেদিনের সেই হার কিছুটা হলেও আড়াল করে দিয়েছিল নেইমারের দারুণ এক কীর্তিকে। সেদিন গোল করে ব্রাজিলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের তালিকায় কিংবদন্তি পেলেকে স্পর্শ করেছিলেন পিএসজি তারকা। দুজনেরই গোল এখন যৌথভাবে ৭৭। নেইমারের সামনে এখন সুযোগ পেলেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার।
বিশ্বকাপের পর পিএসজির হয়ে খেলার সময় চোটে পড়ে বিপর্যয় বাড়ে নেইমারের। তবে এত সব বিপর্যয়ের মধ্যেও স্বীকৃতি পেলেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা। নেইমার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন ব্রাজিলের ফুটবলের অবদান রাখার জন্য দেওয়া ‘ফুই ক্লিয়ার’–এর বার্ষিক পুরস্কারে। যেখানে তিনি পেয়েছেন ব্রাজিলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ গোল ও ‘অ্যাসিস্ট’–এর পুরস্কার।
পুরস্কার হাতে নেইমার বলেছেন, ‘এখানে আসাটা সম্মানের। আমি মৌসুমটা ভালোভাবেই শুরু করেছিলাম। এরপর চোটে পড়ি। আমাকে থেমে যেতে হয় এবং আমি ভালোভাবে ফিরে আসার চেষ্টা করছি।’ ইনস্টাগ্রাম পোস্টে নেইমার লিখেছেন, ‘এই গোলগুলো করতে পারব আমি তা স্বপ্নেও ভাবিনি। আমার স্বপ্ন ছিল ব্রাজিলের জার্সি পরে খেলা।’
নেইমারের সঙ্গে এদিন পুরস্কার অনুষ্ঠানে দেখা যায় থিয়াগো সিলভাকেও। পরে সিলভার সঙ্গে ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে নিজের ছবিও শেয়ার করেছেন এ ফরোয়ার্ড। যেখানে নেইমার লিখেছেন, ‘আমি তোমার ভক্ত’।
এ ছাড়া অন্যদের মধ্যে বিদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ গোল ও ‘অ্যাসিস্ট’–এর (গোল করানো) পুরস্কার ‘পেলে অ্যাওয়ার্ড’ জিতেছেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। ব্রাজিলে করা গোলের জন্য পুরস্কার জিতেছেন পেদ্রো। ব্রাজিলে করা অ্যাসিস্টের জন্য পুরস্কার জিতেছেন পালমেইরাসের গুস্তাবো এসকার্পা।
ইউরোপে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ও ইন্টার মিলানের ম্যাচে দারুণ গোলকিপিংয়ের জন্য পুরস্কার জিতেছেন এদেরসন। ব্রাজিলে এ পুরস্কার জিতেছেন অ্যাথলেটিকো গোর গোলরক্ষক রোনালদো। ব্রাজিলে সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কার গেছে রনির হাতে। আর বিদেশে (কাতার বিশ্বকাপে সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে) সবচেয়ে সুন্দর গোলের পুরস্কার পেয়েছেন রিচার্লিসন।