নিজের দেশ নরওয়ের ক্লাব মল্ডের হয়ে খেলার সময় উলে গুনার সুলশার, এরপর রেড বুল সালজবুর্গে মার্কো রোসা, ডর্টমুন্ডে আসার পর লুসিয়েন ফাভ্রা, এরেন তেরজিক ও আবারও মার্কো রোসা—পেশাদার ক্যারিয়ারে এসব কোচের অধীনই খেলেছেন আর্লিং হলান্ড। প্রত্যেকে মোটামুটি ভালো কোচ হলেও ক্লপ-গার্দিওলা মানের অবশ্যই নন!
এ মৌসুমেই বরুসিয়া ডর্টমুন্ড থেকে ম্যানচেস্টার সিটিতে নাম লিখিয়েছেন এই নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা কোচ পেপ গার্দিওলার অধীন খেলার সুযোগ হয়েছে, যে অভিজ্ঞতা তাঁর আগে কখনো ছিল না। এসেই গার্দিওলার যে রূপ দেখেছেন, তাতে এই স্প্যানিশ ম্যানেজারকে ‘পাগল’ বলেই মনে হচ্ছে হলান্ডের!
সিটির হয়ে অভিষেকটা দুর্দান্ত হয়েছে আর্লিং হলান্ডের। সেদিনই যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিনে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে সিটির হয়ে নিজের অভিষেক ম্যাচে গোল করে দলকে জিতিয়েছেন হলান্ড। ম্যাচ শেষের সাক্ষাৎকারে নিজের নতুন কোচ সম্পর্কে যখন তাঁকে কিছু বলতে বলা হলো, তখনই অনেকটা ঠাট্টাচ্ছলেই গার্দিওলাকে ‘পাগল’ আখ্যা দিলেন এই স্ট্রাইকার।
তবে গার্দিওলা পাগলাটে হলেও এই স্প্যানিশ কোচের প্রতি নিজের অনুরাগ লুকাননি হলান্ড, ‘আমি আপাতত ডর্টমুন্ড নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। এখন আমি সিটির খেলোয়াড়। এখানে গার্দিওলা আছেন, যিনি খানিকটা পাগলাটে। সত্যি বলতে কি, আমি এটা পছন্দই করি। যদিও এখানে এসেছি মাত্র এক সপ্তাহ হলো, এখনই খুব বেশি বলতে পারব না। তবে আমি ভালোভাবে অনুশীলন করছি।’
সিটিতে যোগ দেওয়ার পর হলান্ডের ফিটনেস নিয়ে একটু আলোচনা হচ্ছিল। মাসের শেষে লিভারপুলের বিপক্ষে কমিউনিটি শিল্ডের ম্যাচ। এ ম্যাচে হলান্ড খেলতে পারবেন কি না, সন্দেহ ছিল। বায়ার্নের বিপক্ষে মাঠের খেলায় গোল করে সে সংশয় তো উড়িয়ে দিয়েছেনই, মুখের কথাতেও আত্মবিশ্বাসের তুবড়ি ছুটিয়েছেন, ‘অবশ্যই আমি শতভাগ ফিট নই, তবে এটা কোনো সমস্যা নয়। আমি আস্তে আস্তে ভালো অনুভব করছি। আমি প্রস্তুত।’