২০০৪ সালের ১৬ অক্টোবর এস্পানিওলের বিপক্ষে লা লিগায় বার্সেলোনার হয়ে অভিষেক লিওনেল মেসির। ১৭ বছর ৩ মাস বয়সে মাঠে নেমে বার্সার অফিশিয়াল ম্যাচে সর্বকনিষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে খেলার রেকর্ড গড়েছিলেন আর্জেন্টাইন।
পরে সে রেকর্ড ভেঙে গেলেও পেশাদার ফুটবলে সেদিন সেই অভিযাত্রা শুরুর পর সময়ের বিবর্তনে সেই মেসি এখন কিংবদন্তি। এই তো কাল রাতে মার্শেইয়ের বিপক্ষে পিএসজির ৩–০ গোলে জয়ের ম্যাচে ক্লাব ক্যারিয়ারে ৭০০ গোলের রেকর্ড গড়লেন।
ক্লাব ক্যারিয়ারে মেসির আগে ৭০০ গোলের দেখা শুধু একজন পেয়েছেন। ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো—আল নাসর তারকা ক্লাব ক্যারিয়ারে ৯৫৭ ম্যাচে ৭০৯ গোল করেছেন। আর মেসি ৮৪০ ম্যাচে করলেন ৭০০ গোল। সতীর্থদের আর একটি গোল বানিয়ে দিলে তাঁর ‘অ্যাসিস্ট’সংখ্যা হবে ৩০০।
সেটি হওয়ার আগেই ৭০০ গোল করে দারুণ এক রেকর্ড গড়েছেন পিএসজি তারকা। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগ মিলিয়ে ৭০০ গোল করা একমাত্র ফুটবলার মেসি। রোনালদো ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগের বাইরেও খেলেছেন। এখন তো খেলছেন সৌদি আরবের লিগে।
২০০৪–০৫ মৌসুমে বার্সার হয়ে লা লিগায় অভিষেক মেসির। তাদের হয়ে খেলেছেন ১৭ মৌসুম আর পিএসজিতে পার করছেন দ্বিতীয় মৌসুম। এই ১৯ মৌসুমে ৭০০ গোলের অর্থ হলো প্রতি মৌসুমে গড়ে ৩৬.১৮টি করে গোল করেছেন গত ডিসেম্বরে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো এ কিংবদন্তি। পিএসজির হয়ে ২৮ ও বার্সার হয়ে ৬৭২ গোল করেছেন মেসি। ৭০০ গোলের মাইলফলক ছুঁয়েছেন রোনালদোর চেয়ে ১০৩ ম্যাচ কম খেলেই। ক্যারিয়ারের ৯৪৩ নম্বর ক্লাব ম্যাচে এসে ৭০০তম গোলের দেখা পেয়েছিলেন পর্তুগিজ তারকা।
পিএসজির হয়ে ৬২ ম্যাচে ২৮ গোল করেছেন মেসি। অর্থাৎ ম্যাচপ্রতি তাঁর গোলসংখ্যা ০.৪৫টি করে। বার্সায় থাকতে ম্যাচপ্রতি তাঁর গোলগড় আরও বেশি ছিল। ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল—ম্যাচপ্রতি গড়ে ০.৮৬টি করে গোল। ২০১০ সালে সেভিয়ার বিপক্ষে ক্লাব ক্যারিয়ারে ১০০তম গোলের দেখা পান মেসি। পরের বছরই পেয়ে যান ২০০তম গোলের দেখা। এর দুই বছর পর ৩০০তম এভাবে ২০১৭ সালে এসে দেখা পান ৫০০তম গোলের।
অর্থাৎ পেশাদার ক্যারিয়ারে ১৩তম বছরে এসে এই মাইলফলকের দেখা পান মেসি। সেখান থেকে গোলসংখ্যা সাত শতে উন্নীত করতে ছয় বছর লাগল তাঁর। কোচদের মধ্যে পেপ গার্দিওলার অধীনে থাকতে সবচেয়ে বেশি গোল করেছিলেন। ২০০৮ থেকে ২০১২ পর্যন্ত গার্দিওলা বার্সার কোচ থাকতে ২১১ গোল করেছেন মেসি।