আশঙ্কাটাই সত্যি হলো। মাঝ মৌসুমে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চুক্তিটা শেষ পর্যন্ত বাতিলই হয়ে গেল।
চুক্তি বাতিলের বিষয়টি দুই পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে। উভয় পক্ষ বলছে, পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বাতিল করা হয়েছে এই চুক্তি।
বিশ্বকাপ শুরুর আগ মুহূর্তে পিয়ার্স মরগানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেডের কোচ ও কর্তৃপক্ষের ব্যাপক সমালোচনা করেন রোনালদো।
সেই সাক্ষাৎকারে রোনালদো বলেছিলেন, কোচ এরিক টেন হাগের প্রতি তাঁর কোনো সম্মান নেই, কারণ টেন হাগও রোনালদোর প্রতি কোনো সম্মান দেখান না। সে সাক্ষাৎকারে ইউনাইটেড তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে বলেও দাবি করেছিলেন রোনালদো। সেই ঘটনার ধারাবাহিকতাতেই এই চুক্তি বাতিল।
রোনালদোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল নিয়ে এক বিবৃতিতে ইউনাইটেডের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘দুই মেয়াদে অসামান্য অবদানের জন্য ক্লাব তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছে।’
তারা রোনালদোকে এবং তাঁর পরিবারকে ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা জানিয়ে বিবৃতিতে আরও লিখেছে, ‘দলের বাকিরা টেন হাগের অধীনে দলের উন্নতিতে মনোযোগ দেবে এবং এক সঙ্গে কাজ করে মাঠে সাফল্যের জন্য লড়বে।’
ইউনাইটেড ছাড়ার প্রতিক্রিয়ায় রোনালদো বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সঙ্গে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে আগেই চুক্তি শেষ করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ক্লাবের প্রতি নিজের ভালোবাসার কথা উল্লেখ করে রোনালদো আরও বলেছেন, ‘আমি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে এবং ভক্তদের ভালোবাসি। সেটা কখনো বদলাবে না। যাই হোক, মনে হচ্ছে এটা নতুন চ্যালেঞ্জ সন্ধানের সঠিক সময়। আমি মৌসুমের বাকি সময়ের জন্য এবং ভবিষ্যতের জন্য দলের সফলতা কামনা করি।’
এর আগে ২০০৩ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত প্রথম মেয়াদে ইউনাইটেডের হয়ে খেলেছিলেন রোনালদো। সে সময় ক্লাবের হয়ে দলীয় ও ব্যক্তিগভাবে দারুণ সাফল্য পেয়েছিলেন রোনালদো। তিনটি লিগ শিরোপা ছাড়াও একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছিলেন পর্তুগিজ তারকা। তবে গত মৌসুমে দ্বিতীয় মেয়াদে ইউনাইটেডে ফেরাটা সুখকর হলো না রোনালদোর। বরং শেষটা হলো তিক্ততাতেই।