পিএসজিতে সময়টা খুব ভালো কাটছে না কেইলর নাভাসের। জিয়ানলুইজি দোন্নারুম্মা আসার পর থেকে দলের বেঞ্চে জায়গা খুঁজে নিতে হচ্ছে নাভাসকে। বিশেষ করে নতুন কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের দায়িত্ব নিয়ে জানিয়ে দিয়েছিলেন, তাঁর দলে দুই নম্বর গোলরক্ষক হয়ে থাকতে হবে নাভাসকে।
এর মধ্যে চোটে পড়ায় বিড়ম্বনা আরও বেড়েছে কোস্টারিকান গোলরক্ষকের। এই দুঃসময়ে যোগ হয়েছে আরেক ঝামেলা। এবারের সমস্যাটি অবশ্য কিছুটা অদ্ভুতই বলা যায়। তিন বছরের ছেলে থিয়াগোর জন্য স্কুল খুঁজে পাচ্ছেন না নাভাস। সাহায্য চেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্টও দিয়েছেন তিনি।
২০১৯ সালে রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে পিএসজিতে আসেন সময়ের অন্যতম সেরা গোলরক্ষক নাভাস। তিন বছর প্যারিসে কাটিয়ে দিলেও ভালো স্কুলের সন্ধান নেই তাঁর কাছে। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামের অনুসারীদের শরণাপন্ন হয়েছেন তিনি। পোস্টে নাভাস লিখেছেন, ‘আমি আমার তিন বছর বয়সী ছেলের জন্য প্যারিসে স্কুলের খোঁজ করছি।’ তবে কোন ধরনের স্কুল বা প্যারিসের ঠিক কোন জায়গায় স্কুল হলে ভালো হয়, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু তিনি লেখেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেইলের এমন পোস্টে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন অনেকে। নাভাসের দল পিএসজিতে ফ্রান্সের অনেক খেলোয়াড় আছেন, যাঁদের কাছ থেকে চাইলেই তিনি স্কুলের খোঁজ নিতে পারতেন। কে জানে, হয়তো দুঃসময়ে সতীর্থদের ওপর আস্থা রাখতে পারছেন না নাভাস।
আবার এমনও হতে পারে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের শক্তিতেই বেশি আস্থা তাঁর। তাই সেখানকার অনুসারীদের ওপরই ভরসা করতে চাইছেন। ছেলের স্কুল নিয়ে সচেতনতা দেখানোয় অনেকে তাঁর প্রশংসাও করছেন।
প্যারিসে অনেকটা বাধ্য হয়েই থাকতে হচ্ছে নাভাসকে। পিএসজিতে খেলার সুযোগ পাচ্ছেন না বলে সর্বশেষ দলবদলে চেয়েছিলেন ক্লাব বদলাতে। তবে পছন্দের ক্লাব খুঁজে পেতে শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হয়েছেন। ধারে নাপোলিতে যাওয়ার কথা শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত যা আর হয়নি।
নাভাসকে দলে টানতে না পারা নিয়ে নাপোলি পরিচালক ক্রিস্তিয়ান জিয়ানতোলি বলেন, ‘আমাদের (নাপোলি) সঙ্গে পিএসজির সম্পর্ক খুবই ভালো। তারা চেয়েছিল ফাবিয়ান রুইজকে এবং আমরা চেয়েছিলাম নাভাসকে। চেষ্টা করেছিলাম খেলোয়াড় অদলবদলের মধ্য দিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে। তবে পিএসজি এবং নাভাসের মধ্যকার সমস্যার কারণে এ চুক্তি সম্ভব হয়নি।’