ওডিশা এফসির সঙ্গে এএফসি কাপের ম্যাচ ঘরের মাঠে। অথচ একাদশ দূরের কথা, স্কোয়াডেই নেই তপু বর্মণ, আনিসুর রহমান, শেখ মোরছালিনদের মতো ফুটবলাররা। এই তিন খেলোয়াড়ের সঙ্গে তৌহিদুল আলম সবুজ ও রিমন হোসেনকেও আজকের ম্যাচে নিষিদ্ধ করেছিল কিংস কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ শৃঙ্খলাভঙ্গের। তবে কী ধরনের শৃঙ্খলাভঙ্গ, সেটি প্রকাশ না করারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। সূত্র জানাচ্ছে, এএফসি কাপে মাজিয়া স্পোর্টস অ্যান্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের বিপক্ষে গ্রুপের প্রথম ম্যাচটি খেলতে কিংস যখন মালদ্বীপ গিয়েছিল, এই পাঁচ খেলোয়াড়ের শৃঙ্খলাভঙ্গ সে সময়েরই ঘটনা। যেহেতু তাঁদের আজ খেলানো হয়নি, তাই ‘শৃঙ্খলাভঙ্গে’র অভিযোগটা যে গুরুতর, সেটি বোঝাই যাচ্ছে।
তবে আজ গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়দের ছাড়াই ওডিশার বিপক্ষে জিততে পেরে স্বস্তির কথা জানিয়েছেন কোচ অস্কার ব্রুজোন। তবে তিনি নিষিদ্ধ খেলোয়াড়দের নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি, ‘ওদের নিয়ে কথা বলার কেউ নই আমি। এটা ওই খেলোয়াড়দের আর ক্লাব কর্তৃপক্ষের ব্যাপার। তবে আমি খুশি ওদের ছাড়াই আজ ওডিশার বিপক্ষে ম্যাচটা জিততে পেরেছি বলে।’
মালদ্বীপের মাজিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল এবারের এএফসি কাপে নিজেদের গ্রুপে বসুন্ধরা কিংসের প্রথম ম্যাচ। আগের দুই এএফসি কাপে মাজিয়ার বিপক্ষে জিতেছিল তারা। তাই এবারও প্রত্যাশা ছিল জয়। কিন্তু মালের সেই ম্যাচে ৩-১ গোলে হারে কিংস।
হতাশার সেই ম্যাচটিকে পেছনে ফেলে জিতে খুশি ব্রুজোন। তবে তিনি ওডিশার বিপক্ষে জয়ের পেছনে দলের খেলোয়াড়দের পরিশ্রমের বড় অবদানই দেখছেন, ‘আমরা ম্যাচটা জিতে ৩ পয়েন্ট পেয়েছি। এটা বলা খুবই সহজ। কিন্তু গত দুই সপ্তাহে, বিশেষ করে মাজিয়ার বিপক্ষে হারের পর আমার দলের খেলোয়াড়েরা যেমন পরিশ্রম করেছে, সেটি বলতেই হয়। আমরা এখন পরের সব ম্যাচ জিততে চাই। বিশেষ করে মোহনবাগান সুপারজায়ান্টসের সঙ্গে পরের দুই ম্যাচ। এরপর আবার পাব ওডিশাকে। শেষ ম্যাচ মাজিয়ার বিপক্ষে।’
এএফসি কাপে মোহনবাগানের বিপক্ষে এখন বড় পরীক্ষা কিংসের। ২৪ অক্টোবর কলকাতার যুব ভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মোহনবাগানের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচ। ঢাকায় হোম ম্যাচ ৭ নভেম্বর। ওডিশার বিপক্ষে অ্যাওয়ে ম্যাচটি ভুবনেশ্বরে ১১ ডিসেম্বর। মাজিয়ার সঙ্গে কিংস অ্যারেনায় বসুন্ধরা মাঠে নামবে ২৭ নভেম্বর।