চেলসির নতুন জার্সিতে নেই কোনো পৃষ্ঠপোষক
চেলসির নতুন জার্সিতে নেই কোনো পৃষ্ঠপোষক

চেলসি যে কারণে জার্সির স্পনসর পায়নি

এমনটা ঘটল এই প্রথম!

চেলসিকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ‘বিগ সিক্স’ ক্লাবের একটি হিসেবে ধরা হয়। কিন্তু নতুন মৌসুমে এই চেলসিই জার্সির জন্য কোনো পৃষ্ঠপোষক খুঁজে পাচ্ছে না। গত মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে চেলসির অবস্থান ছিল ১২তম। সেটিরই প্রভাব পড়েছে পৃষ্ঠপোষকদের আগ্রহে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম মেইল অনলাইন জানিয়েছে, সম্প্রতি নতুন মৌসুমের জন্য জার্সি উন্মোচন করেছে চেলসি। কিন্তু সেই জার্সিতে কোনো পৃষ্ঠপোষকের নাম লেখা নেই। গত কয়েকটি মৌসুমে চেলসির জার্সির বাণিজ্যিক সঙ্গী ছিল মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান থ্রি মোবাইল। এবার নতুন মৌসুম শুরু হতে মাত্র পাঁচ সপ্তাহ বাকি থাকতে জার্সির জন্য নতুন পৃষ্ঠপোষক খুঁজে না পাওয়াটা চেলসির জন্য বেশ শঙ্কারই।

চেলসি নতুন জার্সিতে আছে নব্বইয়ের দশকের থিম

থ্রি মোবাইলের সঙ্গে চেলসির চুক্তি শেষ হয়ে গেছে গত মৌসুমের শেষেই। চুক্তিটি ছিল লোভনীয়। এটি থেকে বছরে ৪ কোটি পাউন্ড আয় করেছে চেলসি। নতুন পৃষ্ঠপোষকের সঙ্গে বছরে অন্তত আড়াই কোটি পাউন্ডের চুক্তি করতে চায় স্টামফোর্ড ব্রিজের ক্লাবটি।

দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চেলসির আলোচনা অনেক দূর এগিয়েও ছিল। প্যারামাউন্ট ও স্টেক নামের এ দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত চুক্তি সই করতে পারেনি চেলসি। বেটিং প্রতিষ্ঠান স্টেকের সঙ্গে চুক্তিটি সম্ভব হয়নি প্রিমিয়ার লিগ সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের আপত্তির কারণে।

চেলসি সমর্থকেরাও বেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চেলসির বাণিজ্যিক চুক্তির বিরোধিতা করেছে। এক জরিপে দেখা গেছে ৭৭ শতাংশ সমর্থক চান না তাঁদের প্রিয় ক্লাবের জার্সিতে কোনো বেটিং প্রতিষ্ঠানের লোগো থাকুক।

এদিকে মেইল অনলাইন বলছে, স্টেক নামের এই বেটিং প্রতিষ্ঠানটিতে আলভিন চাউ নামের একজন চীনা ধনকুবেরের বিনিয়োগ রয়েছে। এই চাউয়ের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে।

অবৈধ জুয়া ও অন্যান্য অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অপরাধে এ বছরের শুরুতে চাউয়ের ১৮ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। তিনি এখন কারাগারে। ২০২৫-২৬ মৌসুম থেকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ কর্তৃপক্ষ জার্সিতে বেটিং প্রতিষ্ঠানের লোগো প্রদর্শন নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে।

নতুন জার্সিতে চেলসি ফুটবলারদের ফটো সেশন

চেলসির নতুন মালিক টড বোয়েলি এ মৌসুমে খেলোয়াড় কেনার পেছনে ৬০ কোটি পাউন্ড খরচ করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। সে কারণে বড় অঙ্কের যেকোনো বাণিজ্যিক চুক্তি খুবই প্রয়োজন। মৌসুম শেষে ‘ব্লুজ’ রা বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়কে বিক্রি করে দিয়েছে। এঁদের মধ্যে আছেন এদুয়ার্দ মেন্দি, কালিদু কুলিবালি, কাই হাভার্টজ, মাতেও কোভাচিচ ও ম্যাসন মাউন্ট। ক্লাব ছেড়েছেন সিজার আজপিলিকুয়েতা ও এনগোলো কান্তে।

থ্রি মোবাইলের কাছ থেকে জার্সি পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বছরে ৪ কোটি পাউন্ড আয় করেছে চেলসি

চেলসি নতুন মৌসুমের জার্সি নব্বইয়ের দশকের জার্সির আদলে তৈরি করেছে। গত মৌসুমে আর্সেনাল ও চেলসিও নব্বইয়ের দশকের ডিজাইনে জার্সি বানিয়েছিল। চেলসির এবারের জার্সি ১৯৯৭–৯৮ মৌসুমের আদলে তৈরি। সেবার চেলসি লিগ কাপ ও উয়েফা কাপ উইনার্স কাপ জয় করেছিল।