বার্সেলোনার লিগ শিরোপা কি তাহলে নিশ্চিতই বলা যায়!
মায়োর্কার কাছে রিয়াল মাদ্রিদ হেরে যাওয়ায় পয়েন্ট তালিকায় আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছিল বার্সার সামনে। সেভিয়াকে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেই সুযোগ কাজে লাগাল জাভি হার্নান্দেজের দল।
সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এটি বার্সেলোনার টানা সপ্তম জয়। যে জয় জাভির দলকে লা লিগায় রিয়াল মাদ্রিদের চেয়ে ৮ পয়েন্টে এগিয়ে দিয়েছে। ২০ ম্যাচ শেষে ৫৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বার্সেলোনা, দুইয়ে থাকা রিয়ালের পয়েন্ট ৪৫।
লা লিগার ইতিহাস বলছে, মৌসুমের এই পর্যায়ে ৮ বা তার বেশি পয়েন্টে এগিয়ে যাওয়ার পর বার্সেলোনাই শিরোপা জিতেছে। ক্যাম্প ন্যুয়ে কাল প্রথমার্ধে কোনো গোলই পায়নি বার্সেলোনা। আগের ৩ ম্যাচেও বার্সার প্রথমার্ধ ছিল গোলশূন্য।
তবে প্রতিপক্ষ সেভিয়া বলে হয়তো বার্সা খুব একটা চাপ নেয়নি। ২০০২ সালের পর ক্যাম্প ন্যুতে এসে জিততে পারেনি সেভিয়া। তার ওপর এবারের লিগে মাত্র ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় ধুঁকছে হোর্হে সাম্পাওলির দল।
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর বার্সাকে দ্বিতীয়ার্ধে এগিয়ে দেন জর্দি আলবা। ম্যাচের অষ্টম মিনিটে চোট পেয়ে উঠে যাওয়া সের্হিও বুসকেতসের বদলি নামানো হয় ফ্রাঙ্ক কেসিকে। এসি মিলান থেকে আনা এই স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ৫৮ মিনিটে দারুণ এক পাস দেন আলবাকে। কাছ থেকে নেওয়া কোনাকুনি শটে বল জালে জড়িয়ে মৌসুমে নিজের প্রথম গোলটি করেন আলবা।
১২ মিনিট পর আসে দ্বিতীয় গোল। ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার রাফিনিয়ার বাড়ানো বল থেকে গোলটি করেন গাভি। যা এবারের লা লিগায় তার প্রথম, ক্যারিয়ারের তৃতীয়। ৭৯ মিনিটে বার্সার তৃতীয় গোলটি করেন রাফিনিয়া। সর্বশেষ ১২ ম্যাচে এটি তাঁর পঞ্চম গোল।
সেভিয়ার বিপক্ষে এভাবে আধিপত্য দেখাতে পেরে খুশি বার্সা কোচ জাভি, ‘সেভিয়াকে আমরা দাঁড়াতেই দিইনি। এই ম্যাচে আমাদের দলের প্রচেষ্টা ছিল পরিষ্কার। ছেলেদের মধ্যে ভালো করার তাড়না ছিল, চাপ তৈরি করে খেলে গেছে। আমাদের কাছাকাছি থাকা দল হোঁচট খাওয়ায় জয়টা আরও গুরুত্বপূর্ণ ছিল।’
বার্সেলোনা সর্বশেষ ৮ বা এর বেশি পয়েন্টে এগিয়েছিল ২০১৮-১৯ মৌসুমের শেষ রাউন্ডে। সেবার আতলেতিকো মাদ্রিদের চেয়ে ১১ পয়েন্ট বেশি পেয়ে শিরোপা জিতেছিল দলটি।
এবারও রিয়ালের চেয়ে বড় ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শিরোপার সৌরভ পেতে শুরু করেছে ক্যাম্প ন্যুয়ের দলটি। যদিও এখনই আত্মতুষ্টিতে ভুগতে চান না জাভি, ‘৮ পয়েন্ট এগিয়ে যাওয়া মানে কিছু চূড়ান্ত হয়ে যাওয়া নয়। তবে হ্যাঁ, আমরা সুবিধাজনক জায়গায় আছি। এখনো অনেকটা পথ বাকি আছে। এগিয়ে থেকে সেই পথে পা ফেলাটা সুবিধাজনকই।’