একটাই গোল হলো পুরো ম্যাচে। প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ে হাকান চালহানোলুর সেই গোলটাই ম্যাচ শেষে ইন্টার মিলানকে ভাসিয়েছে উচ্ছ্বাসে, আর বার্সেলোনাকে ডুবিয়েছে হতাশায়।
এবার চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্বে তিনটি করে ম্যাচ খেলে ইন্টার মিলানের এটি দ্বিতীয় জয়, বার্সেলোনার দ্বিতীয় হার। দুই দলই আগে হেরেছে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে, জিতেছে গ্রুপের অন্য দল প্লজেনের বিপক্ষে।
রবার্ট লেভানডফস্কি গোল না পেলে বার্সেলোনা জিতবে না, এই মৌসুমে এটাই যেন অলিখিত নিয়ম। লা লিগায় এ পর্যন্ত ৭টা ম্যাচ খেলেছে বার্সেলোনা, এই ৭ ম্যাচের ৬টিতে লেভা করেছেন মোট ৯ গোল। বার্সেলোনাও জিতেছে ওই ৬টা ম্যাচই। রায়ো ভায়েকানোর বিপক্ষে মৌসুমের প্রথম ম্যাচে লেভা গোল পাননি, সেই ম্যাচটা ড্র করেছে জাভি হার্নান্দেজের দল।
চ্যাম্পিয়নস লিগেও একই ছবি। প্লজেনের বিপক্ষে ম্যাচে হ্যাটট্রিক করেছিলেন লেভা, বার্সাও জিতেছিল ৫-১ গোলে। কিন্তু বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে গোল পাননি, বার্সাও জেতেনি। ইন্টার মিলানের বিপক্ষে আজও সেই একই গল্প। সান সিরোতে গোল তো দূরের কথা, লেভাকে আজ সেই অর্থে খুঁজেই পাওয়া গেল না মাঠে। ওদিকে উসমান দেম্বেলে একের পর এক সুযোগ নষ্ট করে গেলেন। ৬৭ ভাগ বলের দখল রেখেও তাই ম্যাচটা থেকে খালি হাতে ফিরতে হলো বার্সেলোনাকে।
দুর্দান্ত রক্ষণের পাশাপাশি প্রতিআক্রমনে খেলেছে ইন্টার মিলান। তুরস্কের মিডফিল্ডার হাকান চালহানোলুর গোলটা এসেছে প্রথমার্ধের যোগ হওয়া সময়ের একেবারে শেষদিকে। লাওতারো মার্তিনেজের শট বার্সেলোনার এক ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে যায় ইন্টার ডিফেন্ডার দিমার্কোর পায়ে। বাড়ানো বলে শট নেন চালহানোলু, সেটা ঠেকানোর উপায় ছিল না বার্সা গোলোরক্ষক টের স্টেগেনের।
এর আগেই অবশ্য ২৮ মিনিটে একবার বার্সার জালে বল পাঠিয়েছিলেন ইন্টারের ফরোয়ার্ড হোয়াকিন কোররেয়া। তবে অফসাইডের কারণে বাতিল হয়ে যায় সেই গোল।
সেই গোল দুইবার সেই গোল শোধের ভালো সুযোগ এসেছিল বার্সেলোনার সামনে। তবে ৬১ মিনিটে দেম্বেলের শট ইন্টার গোলরক্ষক আন্দ্রে ওনাহার গ্লাভস ছুঁয়ে পোস্টে লাগে। মিনিট পাঁচেক পরে পেদ্রি বল জালে পাঠালেও এর আগে আনসু ফাতির হ্যান্ডবল হওয়ায় সেই গোলও বাতিল হয়ে যায়। অবশ্য রিপ্লে দেখে মনে হয়েছে ফাতির সেই হ্যান্ডবল একেবারেই অনিচ্ছাকৃত, এড়ানোর উপায় ছিল না।
ওদিকে ম্যাচের যোগ হওয়া সময়ে ডি-বক্সে ইন্টারের ডিফেন্ডার ডেঞ্জেল ডামফ্রিসের হাতে বল লাগলেও বার্সেলোনার পেনাল্টির আবেদন ভিএআর দেখে বাতিল করে দেন রেফারি।
এই হারে তিন সাবেক ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নকে নিয়ে গড়া ‘গ্রুপ অব ডেথ’-এ বার্সেলোনার অবস্থান কিছুটা নড়বড়ে হয়ে গেল। ৩টি করে ম্যাচ শেষে বায়ার্ন মিউনিখের পয়েন্ট ৯, ইন্টার মিলানের ৬, বার্সেলোনার ৩, প্লজেনের ০।