ধরুন, জাপান স্পেনকে আর জার্মানি কোস্টারিকাকে হারালে স্পেন ও জার্মানির পয়েন্ট হয়ে যাবে সমান ৪। গ্রুপ পয়েন্ট তালিকায় মাঝামাঝি থাকা সাবেক দুই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের মধ্যে শেষ ষোলোতে জায়গা করবে আসলে কে?
বিশ্বকাপের নকআউট পর্ব শুরু হয় শেষ ষোলো থেকে। একটিই ম্যাচ। একটি দলকে জিততেই হয়, আরেকটিকে হারতে হয়। সে ক্ষেত্রে পূর্ণ সময়ের খেলা সমতা থাকলে ফল নির্ধারণের শেষ মাধ্যম হিসেবে টাইব্রেকারের ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু গ্রুপ পর্বে এ ধরনের কোনো নিয়ম নেই। ম্যাচ মানে নব্বই মিনিটের খেলা। বাড়তি আধা ঘণ্টাও নয়, টাইব্রেকার তো নয়ই।
এ ধরনের ক্ষেত্রে গ্রুপের একাধিক দলের পয়েন্ট সমান হলে কার অবস্থান কত নম্বরে কীভাবে নির্ধারণ করা হয়, সেটিই জেনে নেওয়া যাক এবার।
১. গোল ব্যবধান
পয়েন্ট সমান হলে প্রথমে দেখা হয় দলগুলোর গোল ব্যবধান। গোল ব্যবধান বলতে বোঝায় নিজেদের গোল এবং নিজেদের বিপক্ষে গোলের ব্যবধান। ৩টি গোলের বিপরীতে ২টি হজম করলে গোল ব্যবধান ১, ৩টির বিপরীতে ৪টি হজম করলে গোল ব্যবধান ১। গোল ব্যবধান যার বেশি, সে এগিয়ে থাকে।
২. গোলসংখ্যা
গোল ব্যবধান একই থাকলে বিবেচনায় নেওয়া হয় গোলসংখ্যা। গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচ মিলে কোন দল কত বেশি গোল করেছে।
৩. মুখোমুখি লড়াই
মোট পয়েন্ট সমান, গোল ব্যবধান সমান, মোট গোলের সংখ্যাও সমান—পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এলে দেখা হয় মুখোমুখি লড়াই। দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে কারা জিতেছিল? জেতা দল এগিয়ে থাকবে। কিন্তু একে অপরের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটিও যদি ড্র হয়?
৪. নিজেদের ম্যাচে গোল ব্যবধান
এটি মূলত একই গ্রুপের তিনটি দল একই অবস্থানে থাকার ক্ষেত্রে ঘটে। আগের ধাপগুলোতেও যখন তিনটি দলকে আলাদা করা যায় না, তখন দলগুলোর নিজেদের ম্যাচগুলোর গোল ব্যবধান বিবেচনা করা হয়।
৫. নিজেদের গোলসংখ্যা
এটিও তিনটি দলের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। নিজেদের ম্যাচগুলোয় কে গোলে এগিয়ে সেটি দেখা হবে।
৬. ফেয়ার প্লে
আগের সব কটি ধাপে সমান থাকলে দেখা হবে ফেয়ার প্লের হিসাব। গ্রুপ পর্বের সব কটি ম্যাচ মিলিয়ে কোন দলের ডিমেরিট পয়েন্ট কম, সেটিই এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য।
ডিমেরিট পয়েন্টের হিসাবটা এ রকম:
হলুদ কার্ড = ১ পয়েন্ট
দুই হলুদ কার্ডের লাল কার্ড = ৩ পয়েন্ট
সরাসরি লাল কার্ড = ৪ পয়েন্ট
একটি হলুদ কার্ডের পর একটি সরাসরি লাল কার্ড = ৫ ডিমেরিট পয়েন্ট
৭. লটারি
সর্বশেষ ধাপ হচ্ছে লটারি। আগের ছয় ধাপেও আলাদা না হওয়া দলগুলোকে নাম লিখে ড্র করা হবে।