গার্দিওলার বয়স নাকি ১০ বছর বেড়ে গেছে
গার্দিওলার বয়স নাকি ১০ বছর বেড়ে গেছে

বায়ার্ন ম্যাচে ১০ বছর বয়স বেড়ে গেছে গার্দিওলার

বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে ৩-০ গোলে জয়—পেপ গার্দিওলা নিশ্চয়ই চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগের এই ম্যাচ এতটা সহজে জেতা যাবে, সেটি ভাবেননি। তিনি নিশ্চয়ই ভাবেননি জার্মান পাওয়ার হাউস যে দলকে বলা হয়, সেই দলের বিপক্ষে তাঁর দলের জয়ের স্কোরলাইনটা এমন হবে।

ম্যাচ শেষের সংবাদ সম্মেলনে এমনই একটা প্রশ্ন গার্দিওলার দিকে ছুটে গিয়েছিল। এই মৌসুমে তিনি ও তাঁর দল ম্যানচেস্টার সিটি এত সহজ জয় পেয়েছেন কি না? স্প্যানিশ কোচ সবাইকে অবাক করে দিয়ে উত্তরটা দিলেন এমন, ‘ম্যাচটা মোটেও সহজ ছিল না...আবেগের দিক দিয়ে আমি একেবারে শেষ হয়ে গেছি আজ। আমার বয়স ১০ বছর বেড়ে গেছে।’ উত্তরটা দিয়ে অবশ্য হাসলেন তিনি। আর সেই হাসিই বলে দেয় সব কথা।

গোটা ম্যাচে গার্দিওলার ওপর দিয়ে আবেগের ঝড় বয়ে গেছে

গার্দিওলা যা-ই বলুন, প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ের পথে সমর্থকদের মনে দারুণ আশাই জাগিয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি। বায়ার্ন মিউনিখের মতো দলকে কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগেই ৩-০ গোলে উড়িয়ে দেওয়াটা তো বড় ব্যাপারই। যদিও অন্য প্রান্তে রিয়াল মাদ্রিদ, চেলসি, নাপোলি, এসি মিলান—বাধা এখনো কম নয়। এমনকি বায়ার্ন দ্বিতীয় লেগেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। চ্যাম্পিয়নস লিগে তো কত কিছুই হয়!

২৭ মিনিটে রদ্রির গোলে এগিয়ে থাকা সিটি স্কোরলাইনটাকে ‘ঐতিহাসিক’ বানাতে পেরেছে দ্বিতীয়ার্ধের ৭০ ও ৭৬ মিনিটে বের্নার্দো সিলভা ও আর্লিং হলান্ডের গোলে।

বায়ার্নের কোচ হিসেবে বেশ কয়েক মৌসুম কাটিয়েছেন গার্দিওলা। আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় পরের সপ্তাহে বায়ার্ন যে সর্বশক্তি দিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে চাইবে, সেটি তিনি খুব ভালো করেই জানেন। সে কারণেই দলকে বড় জয়ের আনন্দে ভেসে যেতে দিতে চান না গার্দিওলা। কাজ যে এখনো অনেক বাকি, ‘বায়ার্নের মতো দলকে যদি আপনি চ্যাম্পিয়নস লিগ নকআউট করে এগিয়ে যেতে চান, তাহলে আপনার অবশ্যই দুটি দুর্দান্ত ম্যাচ লাগবে, একটি হলে চলবে না।’

বায়ার্ন মিউনিখের ঘুরে দাঁড়ানো নিয়ে ভাবছেন গার্দিওলা

বড় ব্যবধানে হেরেও বায়ার্নের নতুন কোচ কোচ টমাস টুখেল তাকিয়ে আছেন ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটির দিকে, ‘এটা ফুটবল খেলা। আর জার্মানির মাঠে হোম ম্যাচ, তেমনই। শেষ হওয়ার আগপর্যন্ত কিছুই বলা যায় না।’ ২০২১ সালের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে গার্দিওলাকে হারিয়েছিলেন টুখেল। শিরোপা জিতিয়েছিলেন চেলসিকে।

তবুও এটি এ মৌসুমে ম্যানচেস্টার সিটি ও গার্দিওলার সবচেয়ে সহজ জয় নয়

গার্দিওলা অবশ্য স্বীকার করেছেন, ম্যাচের কোনো কোনো পর্যায়ে বায়ার্ন সিটির চেয়ে এগিয়ে ছিল, ‘ম্যাচের কিছু কিছু সময় বায়ার্ন আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। ম্যাচে আমাদের অনেক সময়ই কিছু জায়গায় সংযোজন–বিয়োজন করতে হয়েছে। ম্যাচের শেষ দিকে আমরা অনেক ভালো খেলেছি। সবচেয়ে বড় কথা, আমরা তিনটি দারুণ গোল করেছি। প্রচুর গোলের সুযোগ তৈরি করেছি।’

ইউলিয়ান নাগলসমানকে বিদায় করে দিয়ে সদ্যই টুখেলকে কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বায়ার্ন। জার্মান এই কোচের মতে, তাঁর দলের খেলোয়াড়েরা ৩-০ গোলের বড় হার নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন, ‘খেলোয়াড়েরা জানে, স্কোরলাইন ম্যাচের আসল চিত্রটা তুলে ধরছে না। এমন ব্যবধানে হারটা আমার দলের প্রাপ্য ছিল না।’