ইস্তাম্বুলে আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান
ইস্তাম্বুলে আজ রাতে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার সিটি ও ইন্টার মিলান

কৌশলের লড়াইয়ে গার্দিওলাকে কি হারাতে পারবেন ইনজাগি

‘যুদ্ধের সর্বোত্তম শিল্প হলো যুদ্ধ না করে শত্রুকে পরাস্ত করা’—‘দ্য আর্ট অব ওয়ার’–এ এই কথা লিখেছিলেন সান জু। যুদ্ধ না করেই শত্রুকে বধ করতে হলে প্রয়োজন কৌশলগত শ্রেষ্ঠত্বের। শত্রুপক্ষ অমিত শক্তিধর হলে নিখুঁত কৌশলই পারে পাশার দান বদলে দিতে। শত্রুর চোখে চোখ রেখে তাই অপেক্ষা করতে হয় নিজের চালটা দেওয়ার। কখনো আবার নিজে কিছু করার পরিবর্তে শত্রুর একটি ভুলও লড়াইয়ের গতিপথ বদলে দিতে পারে। নেপোলিয়ান বোনাপার্ট যেমনটা বলেছিলেন, ‘শত্রু যখন ভুল করে, তখন তার কাজে বাধা দিয়ো না।’

আজ ম্যানচেস্টার সিটি বনাম ইন্টার মিলানের লড়াইটাও অনেকটা তেমনই। মহাশক্তিধর সিটির বিপক্ষে আন্ডারডগ হিসেবেই খেলতে নামবে ইন্টার। বাজির দর থেকে শুরু করে বিশেষজ্ঞদের রায়—কোথাও নেই ইন্টারের নাম। কিন্তু ১১ জন বনাম ১১ জনের লড়াইয়ে একটি বিশেষ মুহূর্ত কিংবা বিশেষ কোনো কৌশল অথবা বড় কোনো ভুল বদলে দিতে পারে ম্যাচের পুরো চিত্র।

চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালটি হবে মূলত স্টাইল ও দর্শনের লড়াই। গার্দিওলা কৌশলের জাদুকর। সাম্প্রতিক সময়ে রীতিমতো নিখুঁত রণকৌশল নিয়ে একের পর এক প্রতিপক্ষকে বশ করে চলেছেন এই স্প্যানিয়ার্ড। সেমিফাইনালে চ্যাম্পিয়নস লিগের রাজা রিয়াল মাদ্রিদকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়েছে গার্দিওলার সিটি। আজও গার্দিওলার আরেকটি ‘মাস্টারস্ট্রোক’ দেখার অপেক্ষায় থাকবেন সবাই। তবে আজ রাতে ইন্টার মিলান কোচ সিমোনে ইনজাগি হতে পারেন ইস্তাম্বুলে ‘অভিমন্যু বধ’–এর নায়ক।

মহাভারতের অভিমন্যু যেমন চক্রব্যূহে প্রবেশ করতে পারতেন, কিন্তু বের হতে জানতেন না, গার্দিওলার সিটিও তেমন ফাইনাল পর্যন্ত আসতে জানে, কিন্তু এখান থেকে জিতে বের হতে জানে না। তাই ব্যক্তিগতভাবে কোচ গার্দিওলার দখলে দুটি চ্যাম্পিয়নস লিগ থাকতে পারে, কিন্তু সিটির হয়ে ইউরোপে তাঁর খাতাটা এখনো শূন্য। ২০২১ সালের ফাইনালে খেললেও কৌশলে পরাস্ত হয়ে চক্রব্যূহ থেকে আর বেরোতে পারেনি ইতিহাদের ক্লাবটি। প্রশ্ন হচ্ছে, আজ কি ২০২১ সালের চেলসি হতে পারবে ইনজাগির ইন্টার? নাকি শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রেখে চক্রব্যূহ ছিঁড়ে ট্রেবল জিতে নেবে সিটিই। তবে ফাইনালে যে–ই জিতুক, দিন শেষে পার্থক্য গড়ে দেবে দুই কোচের কৌশল।

সিটির অনুশীলনে হলান্ড ও গার্দিওলা

গার্দিওলার ‘ভিডিও গেম’ থিওরি

এ মৌসুমে অপ্রতিরোধ্য ফুটবল খেলছে সিটি। গোটা মৌসুমের পারফরম্যান্স বিশ্লেষণ করে সিটির কৌশলগত ভুল বের করা রীতিমতো দুঃসাধ্য। গার্দিওলা এই দলকে যেন মাঠে নয়, ভিডিও গেমসে খেলান। প্রতিটি চাল যেন একেবারে স্কেল দিয়ে মাপা। মাঠের বাইরে বসে আঙুলের ইশারাতেই গার্দিওলা বদলে দিতে থাকেন ম্যাচের দৃশ্যপট। চ্যাম্পিয়নস লিগের এবারের আসরে কোনো ম্যাচ না হেরেই ফাইনালে উঠেছে সিটি। ৭টি জয়ের বিপরীতে আছে ৫টি ড্র। ১২ ম্যাচে ৩১ গোল করার বিপরীতে তারা হজম করেছে মাত্র ৫ গোল। আক্রমণ ও রক্ষণের অসাধারণ এক সমন্বয় বের করেছেন গার্দিওলা। যার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে কেভিন ডি ব্রুইনা, আর্লিং হলান্ড, ইলকাই গুন্দোয়ানদের ব্যক্তিগত শৈলীও, যা ম্যাচের পর ম্যাচে সিটিকে সাফল্য এনে দিয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে রিয়ালের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালে এবং এফএ কাপ ফাইনালে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে দাপুটে ফুটবল উপহার দিয়েছে সিটি। ফাইনালেও সেই কৌশলে স্থির থাকতে পারেন গার্দিওলা। তবে বড় ম্যাচে এই স্প্যানিশ কোচ ছোটখাটো কিছু ঝুঁকি নিয়ে থাকেন, যা কখনো ইতিবাচক ফল এনেছে, আবার কখনো নেতিবাচক।

তবে কৌশল না বদলালে ম্যানুয়েল আকাঞ্জি, রুবেন দিয়াজ, জন স্টোনস ও কাইল ওয়াকারকে দিয়ে ডিফেন্স লাইন সাজাবেন সিটি কোচ। মিডফিল্ডে থাকবেন রদ্রি, ডি ব্রুইনা ও ইলকাই গুন্দোয়ান। দুই উইংয়ে দেখা যাবে জ্যাক গ্রিলিশ ও বের্নার্দো সিলভাকে। আর সেন্টার ফরোয়ার্ড হিসেবে থাকবেন হলান্ড। তবে খেলা মাঠে গড়ানোর পর বদলে যেতে পারে এই চিত্র। যেমন ডি ব্রুইনাকে দেখা যেতে পারে ফলস নাইনের ভূমিকায় কিংবা স্টোনস খেলতে পারেন ফলস সেন্টারব্যাক হিসেবে। তা ছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে আকাঞ্জিও খেলছেন নিজের পজিশন বদলে।

অনুশীলনে ঘাম ঝরাচ্ছে ইন্টারের খেলোয়াড়েরা

বিশেষ করে ইন্টারের ফরমেশনের কারণে কৌশলগত কিছু পরিবর্তন আনতে পারেন গার্দিওলা। যে কারণে রাইট উইং ছাড়া আর কোনো পজিশনেই হয়তো চূড়ান্ত বলে কিছু থাকবে না। যেহেতু ইন্টারের জমিয়ে ডিফেন্স করার সম্ভাবনা বেশি, তাই সিটির খেলোয়াড়দের কিছু একক শৈলীও দেখাতে হতে পারে। বিশেষ করে ওয়ান অন ওয়ানে প্রতিপক্ষকে হারাতে পারলে সিটির ম্যাচ বের করে আনার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে যাবে। তবে সাম্প্রতিক সময়ে গার্দিওলা বারবার বলেছেন, তিনি কৌশল নিয়ে বাড়াবাড়ি করবেন না। যদি সেটিই হয়, তবে আগের ম্যাচগুলোর জয়ের ফর্মুলা তিনি এখানেও প্রয়োগ করবেন। তেমনটা হলে এই ম্যাচেও সিটি মিডফিল্ড ওভারলোড করে ইন্টারকে এলোমেলো করতে দিতে চাইবে।

পাশাপাশি উইংয়ের লড়াইও সিটির জন্য ফলনির্ধারক হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে ইন্টারের রক্ষণাত্মক কৌশল সিটিকে উইংয়ের দিকে ঠেলে দিতে পারে। সেই জাল ছিঁড়ে সিটি কীভাবে বেরিয়ে আসবে, তার ওপর নির্ভর করছে এই ম্যাচের ফল। ইন্টারের রক্ষণকৌশল ভাঙতে গার্দিওলা হয়তো তাদের উইঙ্গারদের টাচলাইনের কাছাকাছি থাকতে বলতে পারেন, যা কিনা ইন্টারের উইংব্যাক এবং ডিফেন্ডারদের বাধ্য করবে নিজেদের অর্ধে থাকতে।

এ কৌশল ঠিকঠাক প্রয়োগ করা গেলে ইন্টারের উইংব্যাক সহজে ওপরে উঠে আসতে পারবে না, যা সিটিকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষ সুবিধা দেবে। তা ছাড়া ইন্টারের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে গতিময় ফুটবলে ম্যাচের নিজেদের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারে সিটি। ইন্টারের মিডফিল্ড ত্রিফলা ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় সিটির উইঙ্গারদের বিপক্ষে দলের রক্ষণকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে সংগ্রাম করতে পারে। যা গ্রিলিশ, সিলভা কিংবা মাহারেজদের মতো খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত শৈলী দেখিয়ে সুযোগ তৈরিতে বিশেষ সুবিধা করে দেবে। আর ইন্টার যদি হাই প্রেসিং কৌশল বেছে নেয়, তবে সেটিও সিটিকে জায়গা বের আক্রমণে যেতে বিশেষ সুবিধা দেবে।

দলের ফিটনেস কোচের সঙ্গে গার্দিওলা

রক্ষণকেই কি পাখির চোখ করবেন ইনজাগি

ফাইনালে ইন্টার যে দুই স্ট্রাইকার নিয়ে খেলবে, তা আগে থেকেই জানা সিটির। কিন্তু অনেক সময় জানা প্রশ্নের উত্তর লেখাটাও চ্যালেঞ্জিং হয়ে যায়। সিটিকেও আজ একই ধরনের সমস্যায় পড়তে হতে পারে। সিটির ডিফেন্স এলোমেলো করে দিতে যে দুজন স্ট্রাইকারকে ইন্টার ব্যবহার করবে, তাঁরা হলেন লাওতারো মার্তিনেজ ও এডেন জেকো। বিশ্বকাপে নিজেকে হারিয়ে খোঁজা মার্তিনেজ দারুণ ছন্দে আছেন। শেষ ১৩ ম্যাচে গোল করেছেন ১১টি। ফাইনালে তাঁর সঙ্গী হতে পারেন এডেন জেকো। বয়স ৩৭ পেরিয়ে গেলেও এখনো দারুণ কার্যকর। আর বেঞ্চ থেকে আসবেন রোমেলু লুকাকু।

আধুনিক ফুটবলে সেন্টার ব্যাকদের দুজন স্ট্রাইকার সামলাতে হয় কদাচিৎ। যখন একজন স্ট্রাইকারকে সামলাতে হয়, তখন একজন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডারই যথেষ্ট। আরেকজন নিচে নেমে কাভার দেয়। তাই দুজনকে স্ট্রাইকারকে সামলানোর বিষয়টি একেবারে ভিন্ন। এ মৌসুমে লিগে সিটি ৮ ম্যাচে ২ জন ডিফেন্ডারকে সামলেছে, যেখানে ৫ জয়ের বিপরীতে ১টি ড্র এবং ২টি হার আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ পরিসংখ্যানটা লুকিয়ে আছে আরও গভীরে। যেখানে সেই ৮ ম্যাচের মাত্র ২টিতে গোলবার অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছিল সিটি, যা শতাংশের হিসাবে ২৫। অন্যদিকে, তারা একজন স্ট্রাইকারকে মোকাবিলা করেছে ৩০টি ম্যাচে, যার ১১টিতেই গোলবার অক্ষুণ্ন রাখতে পেরেছিল, যা কিনা ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

ইন্টারের দুই স্ট্রাইকার আরও একটি বিপদ ডেকে আনতে পারে সিটির জন্য। সাম্প্রতিক সময়ে জন স্টোনসকে ফলস সেন্টারব্যাক হিসেবে খেলাচ্ছেন গার্দিওলা, যাঁকে প্রায়ই সেন্টারব্যাক পজিশন ছেড়ে মিডফিল্ডে উঠে আসতে দেখা যায়। দুই স্ট্রাইকারের মুখোমুখি হওয়ার ফলে এ কাজ কঠিন হয়ে উঠতে পারে এবং সেটি সিটির জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারে। অন্যদিকে, গার্দিওলা যদি স্টোনসকে শুধু সেন্টারব্যাক হিসেবেই খেলান, তবে সে ক্ষেত্রে নিজের পরিকল্পনা থেকে সরে আসতে হবে তাঁকে, যা সিটির কৌশলের হিসাব–নিকাশই বদলে দিতে পারে।

অন্যদিকে, তিন ডিফেন্ডারের কৌশল অবশ্য নতুন কিছু নয়। এই ম্যাচেও হলান্ডদের আটকাতে তিন ডিফেন্ডারের কৌশলে অটল থাকবে ইন্টার। এ মৌসুমে সিটি ১৩টি ম্যাচে তিন সেন্টারব্যাকের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু তা অবশ্য দলটির বড় বিপদের কারণ হয়নি। আর সেই ১৩ ম্যাচে ওপেন প্লে থেকে হলান্ড করেছেন ১১ গোল। যদিও ৭টি অবশ্য প্রথম ৪ ম্যাচেই পেয়েছেন নরওয়েজিয়ান স্ট্রাইকার। এ ম্যাচে ইন্টারের সম্ভাব্য ফরমেশন হতে পারে ৫-৩-২। এ মৌসুমে ৪ বার এ ধরনের কৌশলের মুখোমুখি হয়েছিল সিটি। যেখানে নটিংহাম ফরেস্টের সঙ্গে ৬-০ গোলে জিতলেও এভারটনের সঙ্গে ড্র করে বসে এবং ব্রেন্টফোর্ডের সঙ্গে দুই ম্যাচেই হেরেছে। এখন ইন্টার যদি ব্রেন্টফোর্ড ম্যাচের বিশ্লেষণ করে মাঠে নামে, তবে বিপদে পড়তে হতে পারে সিটিকে।

সিটির জন্য ফাইনালে মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ইন্টারের দুই উইং ব্যাক ফেদেরিকো ডিমারকো ও ডেনজেল ডামফ্রাইস। ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে মৌসুমজুড়ে সিটির ব্যর্থতার অন্যতম কারণ দলটির শক্তিশালী উইংব্যাক, যাঁরা ওপরে উঠে এসেও ভূমিকা রাখতে পারেন। ঠিক একই ধরনের পরিস্থিতি দেখা যেতে পারে ফাইনালে। ইন্টারের ডিমারকো ও ডামফ্রাইসও ওপরে উঠে এসে একই কাজ করতে পারেন। ডিমারকো এরই মধ্যে ৪ গোল করার পাশাপাশি ৩টি অ্যাসিস্ট করেছেন। অন্যদিকে, ডামফ্রাইস করেছেন ১ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট। আজ রাতেও সিটির মাথাব্যথার কারণ হতে পারেন তাঁরা।

আজ রাতে ইউরোপ সেরার লড়াই

আজ রাতে ইন্টারের কৌশল হবে ৫ ডিফেন্ডার দিয়ে সিটির ৩ ফরোয়ার্ডকে আটকানো। আর মিডফিল্ডে থাকবেন নিকোলা বারেল্লা, মারসেলো ব্রোজোভিচ ও হাকান কালহানোগু, যাঁদের বড় কাজ হবে ডি ব্রুইনা ও ইলকাই গুন্দোয়ানকে খুব বেশি সময় বলের সঙ্গে কাটাতে না দেওয়া এবং খুব একটা জায়গা নিয়ে খেলতে না দেওয়া। তবে সেন্টারব্যাক পজিশন ছেড়ে স্টোনস ওপরে উঠে এলে লড়াইটা উন্মুক্ত হয়ে যেতে পারে উভয় দলের জন্য। ইন্টারের জন্য কাজটা অবশ্য কিছুটা সহজ হতে পারে। কারণ, এ সুযোগে প্রতি-আক্রমণে গিয়ে তারা চমকে দিতে পারে সিটিকে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য কৌশল যেমনই হোক, গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে সেটা বাস্তবায়ন করা। কে কতটা কার্যকর উপায়ে কৌশলকে কাজে লাগাচ্ছে, সেটিই দিন শেষে ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দেবে। যেহেতু ম্যাচটা ফাইনাল, অনেক সময় কৌশলের চেয়ে বড় হয়ে উঠতে পারে মুহূর্তের ঘটনা। একটি জাদুকরি মুহূর্তে ভেস্তে যেতে পারে শক্তিশালী কোনো দলের সমস্ত কৌশল ও পরিকল্পনা।