নাইজেরিয়া দলের অনুশীলনে ভিক্টর ওসিমেন
নাইজেরিয়া দলের অনুশীলনে ভিক্টর ওসিমেন

শঙ্কা কাটিয়ে ফিরলেন ওসিমেন, খেলবেন সেমিফাইনালে

তলপেটের অস্বস্তির কারণে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের সেমিফাইনালে খেলা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল ভিক্টর ওসিমেনের। তবে নাইজেরিয়ার জন্য সুখবর, পুরোপুরি সেরে উঠেছেন দলটির অধিনায়ক। বুয়াকের দে লা পি স্টেডিয়ামে আজ রাতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলতে কোনো বাধা নেই।

এক বিবৃতিতে ওসিমেনের সেরে ওঠার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশন। তারা জানিয়েছে, ‘ভিক্টর ওসিমেনকে ফিট ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেমিফাইনালে তাঁকে পাওয়া যাবে। তিনি বুয়াকেতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন এবং আজ অনুশীলনও করেছেন।’

গতকাল নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের মুখপাত্র বাবাফেমি রাজি জানিয়েছিলেন, তলপেটে অস্বস্তির কারণে ওসিমেন সোমবার দলের সঙ্গে আবিদজান থেকে বুয়াকেতে যাননি। ২৫ বছর বয়সী তারকা স্ট্রাইকারকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। চিকিৎসা বিভাগের এক সদস্য আবিদজানে তাঁর সঙ্গেই আছেন।

আফ্রিকা কাপ অব নেশনসে দারুণ ছন্দে আছেন ভিক্টর ওসিমেন

তবে শঙ্কা উড়িয়ে শেষ পর্যন্ত সেরে উঠেছেন ওসিমেন। তবে তাঁর তলপেটের অস্বস্তির সঠিক প্রকৃতি বা এটি কী কারণে হয়েছিল, সে ব্যাপারে নাইজেরিয়া ফুটবল ফেডারেশনের পক্ষ থেকে কিছু জানানো হয়নি।

গত শুক্রবার রাতে আদেমোলা লোকমানের গোলে অ্যাঙ্গোলাকে ১–০ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠে নাইজেরিয়া। দুর্দান্ত এক হেডে গোল করেছিলেন ওসিমেনও। তবে তিনি অফসাইডে থাকায় গোলটি বাতিল হয়ে যায়। ম্যাচে বেশ কয়েকবার প্রতিপক্ষের বাজে ট্যাকলের শিকার হন ওসিমেন। শেষ দিকে স্ট্রেচারে চড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান।

গত মৌসুমে নাপোলিকে ইতালিয়ান সিরি ‘আ’ শিরোপা জেতাতে ও উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছিলেন ওসিমেন। ক্লাবটির হয়ে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ৩৯ ম্যাচে করেছিলেন ৩১ গোল। পেয়েছিলেন ২০২৩ সালের আফ্রিকার বর্ষসেরা ফুটবলারের স্বীকৃতিও।

কোয়ার্টার ফাইনালের শেষ দিকে স্ট্রেচারে চড়ে মাঠ ছাড়েন ভিক্টর ওসিমেন

১১ বছর পর আফ্রিকা মহাদেশের শ্রেষ্ঠত্বের আসর কাপ অব নেশনস জিততে ওসিমেনের কাছ থেকে বড় কিছুর প্রত্যাশায় আছে নাইজেরিয়া। আস্থার প্রতিদানও দিয়েছেন ওসিমেন। গ্রুপ পর্ব থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচের সব কটিতে ন্যূনতম ৮৮ মিনিট করে খেলেছেন। আসরে নাইজেরিয়া এখন পর্যন্ত করেছে ৬ গোল, এর ৪টিতেই অবদান ওসিমেনের। নিজে করেছেন ১ গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ২টি। আরেকটি গোলে আক্রমণের সুর বেঁধে দিয়েছেন।