গোল করায় যেন লিওনেল মেসির কোনো ক্লান্তি নেই! একের পর এক ম্যাচে গোল করেই চলেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়ার আগে পিএসজির হয়ে সর্বশেষ দুই ম্যাচে গোল করেছেন।
আর আন্তর্জাতিক বিরতিতে আর্জেন্টিনার জার্সিতে হন্ডুরাস ও জ্যামাইকার বিপক্ষে দুটি প্রীতি ম্যাচেই জোড়া গোল করেছেন। আন্তর্জাতিক বিরতি শেষে পিএসজির জার্সিতে ফিরেই আবার গোল মেসির!
প্যারিসে গতকাল নিসের বিপক্ষে পিএসজিকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেন মেসি। এরপরও অবশ্য স্বস্তি ছিল না পিএসজি শিবিরে। বিরতির একটু পরই সমতা ফেরায় নিস।
শেষ পর্যন্ত পিএসজিকে স্বস্তির জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার সুযোগ করে দেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। বদলি হিসেবে নামা ফরাসি স্ট্রাইকারের এই গোলেই শেষ পর্যন্ত ২–১ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে পিএসজি।
নিজদের মাঠে ২৯ মিনিটে এদিন দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন মেসি। জ্যামাইকার বিপক্ষেও ফ্রিকিকে গোল করেছিলেন মেসি।
৪৭ মিনিটে নিস সমতায় ফেরার পর পিএসজি এগিয়ে যেতে মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু প্যারিসের দলটির একের পর এক আক্রমণ বিফল হয় নিসের গোলরক্ষক কাসপার স্মাইকেলের দক্ষতায়।
পিএসজিকে ঠেকিয়ে রাখার পাশাপাশি চাপও তৈরি করেছিল নিস। তবে ৮৩ মিনিটে এমবাপ্পেকে আর ঠেকিয়ে রাখতে পারেনি তারা। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে টানা সপ্তম জয় পেল পিএসজি।
আর এমবাপ্পে এই নিয়ে এ মৌসুমে খেলা ১০ ম্যাচে পেলেন ১১তম গোল। দলের অন্যতম দুই সেরা তারকা গোল করেছেন, মাঠ ছেড়েছেন জয় নিয়ে। এরপরও যেন সন্তুষ্ট হতে পারছেন না পিএসজি কোচ ক্রিস্তফ গালতিয়ের।
আরও ভালোভাবে জিততে না পারার দায় অবশ্য তিনি দিয়েছেন আন্তর্জাতিক বিরতির ক্লান্তিকেই, ‘অনেক খেলোয়াড় ভ্রমণ করে এসেছে এবং অনেক সময় মাঠেও কাটিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক বিরতির পর এই ধরনের ম্যাচে এমনটা সব সময় হয়ে থাকে। উজ্জীবিত হয়ে শুরু করতেই আমি এমন একাদশ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পাশাপাশি আমার খেলোয়াড়েরা যাতে এই স্কোয়াডের অংশ হতে পারে, সেই চেষ্টাও ছিল। খুব বেশি সুযোগ তৈরি না হলেও প্রথমার্ধে ভালো খেলেছি আমরা।’
দ্বিতীয়ার্ধে চাপে পড়ার কথা স্বীকার করে গালতিয়ের যোগ করেন, ‘দ্বিতীয়ার্ধে আমরা গতি হারিয়ে ফেলি। খেলায় প্রাণ, ছন্দ আর তীব্রতা ছিল না। এর ফলে আমরা নিসকে সুযোগ করে দিই, তারা ভালো একটি ম্যাচ খেলেছে। বল পেতেও কষ্ট হচ্ছিল, চ্যালেঞ্জগুলোও জিততে পারছিলাম না আমরা। যেভাবে খেলা উচিত ছিল, ঠিক সেভাবে খেলতে পারছিলাম না।’
এদিন এমবাপ্পের জায়গায় শুরুর একাদশে উগো একিতিককে খেলিয়েছেন গালতিয়ের। এটি ছিল পিএসজির জার্সিতে তাঁর প্রথম ম্যাচ। তবে চাপের মুখে ৫৯ মিনিটে এমবাপ্পেকে মাঠে নামান গালতিয়ের। মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে ত্রয়ীতেই পরে খেলার ধারা বদলেছে বলে মনে করেন পিএসজি কোচ, ‘যখন আমরা আক্রমণভাগে এই ত্রয়ীকে একসঙ্গে পেলাম, তখন প্রতিপক্ষের রক্ষণে চাপ তৈরি হয়েছে। এরপর আমরা সুযোগ তৈরি করেছি এবং ম্যাচ জিতেছি।’