হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের তহুরা খাতুন
হ্যাটট্রিক করেছেন বাংলাদেশ নারী দলের তহুরা খাতুন

সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপ

ম্যাচসেরার পুরস্কার সাবেক দুই কোচকে উৎসর্গ তহুরার

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে দল জিতেছে ৭-১ গোলে। নিজে হ্যাটট্রিক করেছেন। পেয়েছেন ম্যাচসেরার পুরস্কার। আজ কাঠমান্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় সবার চেয়ে উজ্জ্বল ছিলেন তহুরা খাতুন। বাঁ পায়ের শটে দুর্দান্ত তিনটি গোল তাঁকে আলাদাভাবে চিনিয়েছে মাঠে।

ফাইনালে ওঠার স্বস্তি নিয়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল যখন দশরথ রঙ্গশালার ফটকে অপেক্ষা করছে, ঠিক তখন মাঠের একপাশে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বললেন তহুরা। ভারতের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশের ৩-১ গোলের জয়ে ২ গোল করে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন। সেই পুরস্কারটি উৎসর্গ করেছিলেন নিজের ছোটবেলার বন্ধু অকালপ্রয়াত ফুটবলার সাবিনা খাতুনকে

আমার ট্রফিটা আমার সাবেক কোচ ছোটন স্যার (বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী) এবং আমি যেই জায়গা থেকে উঠে আসছিলাম, সেই কলসিন্দুরের মফিজ স্যারকে (মফিজ উদ্দিন) উৎসর্গ করছি।
তহুরা খাতুন, বাংলাদেশের নারী ফুটবলার

আজ সেমিফাইনালের পাওয়া পুরস্কার ময়মনসিংহের কলসিন্দুরের মেয়ে উৎসর্গ করেছেন তাঁর দুই সাবেক কোচকে। তাঁরা কারা? তহুরা বলেন, ‘আমার ট্রফিটা আমার সাবেক কোচ ছোটন স্যার (বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের সাবেক কোচ গোলাম রব্বানী) এবং আমি যেই জায়গা থেকে উঠে আসছিলাম, সেই কলসিন্দুরের মফিজ স্যারকে (মফিজ উদ্দিন) উৎসর্গ করছি। আমার দুই প্রিয় কোচকে ট্রফিটা উৎসর্গ করতে পেরে ভালো লাগছে।’

ভুটানকে ৭–১ গোলে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে বাংলাদেশ

ম্যাচের আগে ভেবেছিলেন হ্যাটট্রিক করে এভাবে ম্যাচটা রাঙিয়ে তুলবেন? কিছুটা লাজুক হেসে তহুরা বলেন, ‘এ রকম তো আর কেউ ভেবে মাঠে নামে না। চেষ্টা ছিল প্রথম থেকেই। আমরা যেহেতু ওপরে খেলি, যদি সুযোগ পাই, মিস যাতে না হয়, ঠান্ডা মাথায় যেন ফিনিশ করতে পারি। সেই চেষ্টা ছিল।’

তহুরার নিজের হিসাব অনুযায়ী বয়সভিত্তিক ও জাতীয় দল মিলিয়ে তাঁর গোলসংখ্যা ৫৫। যার মধ্যে সর্বশেষ ৫টি গোল এসেছে টানা দুই ম্যাচে জাতীয় দলের জার্সিতে, সাফের মতো বড় আসরে।