এল ক্লাসিকোয় কাল বেনজেমা–ক্রুসরা নিষ্প্রভ ছিলেন
এল ক্লাসিকোয় কাল বেনজেমা–ক্রুসরা নিষ্প্রভ ছিলেন

বার্সার কাছে যে ৩ কারণে হেরেছে রিয়াল

লা লিগায় সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে অপরাজিত থেকে ক্যাম্প ন্যুতে খেলতে নেমেছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কার্লো আনচেলত্তির দলের সঙ্গে ছিল বার্সার মাঠে সর্বশেষ দুই ম্যাচে জয়ের আত্মবিশ্বাসও। তবে রোববার রাতের ক্যাম্প ন্যুতে জিততে পারেনি লস ব্লাঙ্কোসরা। যোগ করা সময়ে গোল হজম করে রিয়াল হেরেছে ২–১ ব্যবধানে

লিগে মৌসুমের দ্বিতীয় এল ক্লাসিকোর এই হারে শিরোপার আশাও কার্যত শেষ হয়ে গেছে রিয়ালের। শীর্ষে থাকা বার্সেলোনার সঙ্গে ব্যবধান এখন ১২ পয়েন্টের। ইউরোপীয় প্রতিযোগিতায় ছন্দে থাকা রিয়াল কী কারণে বার্সার মাঠে খেই হারিয়ে ফেলল, সেই আলোচনা এখন সমর্থকদের মধ্যে।

এল ক্লাসিকোয় রিয়ালের হেরে যাওয়ার তিনটি কারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে এখানে।

অফসাইড, অফসাইড নয়

ম্যাচ শেষে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তি স্পষ্ট করেই বলেছেন, তাঁর দল যেভাবে খেলেছে, জয় তাতে প্রাপ্যই ছিল। কিন্তু প্রাপ্য জয়টা কেন আসেনি? এ ক্ষেত্রে ভিএআরে মার্কো আসেনসিওর গোল বাতিলকে তিনি ইঙ্গিত করেছেন। ৮১ মিনিটে দেওয়া আসেনসিওর গোল অফসাইডের কারণে বাতিল করে দেন রেফারি। সেই অফসাইডটি নিয়ে সরাসরি সন্দেহের কথা জানিয়েছেন আনচেলত্তি। অফসাইডের যাচাইয়ের সময় যে ভিডিও ফুটেজ দেখা গেছে, সেটা ছিল সংশয়পূর্ণ। তবে ভিন্ন কোণ থেকে নেওয়া দৃশ্যে আসেনসিওর অফসাইড ধরা পড়েছে। বিষয়টি জটিল হয়ে উঠত না, যদি কাতার বিশ্বকাপের মতো সেমি–অটোমেটিক অফসাইড ব্যবস্থা থাকত।

ভিএআরে রিয়ালের দ্বিতীয় গোল বাতিল করেন রেফারি

নিষ্প্রভ বেনজেমা

ম্যাচের আগে আনচেলত্তি জানিয়েছিলেন, খেলার জন্য শতভাগ ফিট আছেন করিম বেনজেমা। তবে ম্যাচে তাঁর গতিবিধি দেখে খেলার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত মনে হয়নি। যদি শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ থেকেও থাকেন, এল ক্লাসিকোর মতো তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচের জন্য মানসিকভাবে কতটা প্রস্তুত ছিলেন, এ প্রশ্ন থেকেই যায়। ৩৫ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড বল দেওয়া–নেওয়ায় মন্থর ছিলেন। খোলাচোখেই মনে হয়েছে, পুরো নব্বই মিনিট তাঁকে না খেলালেই চলত।

গোলের সুযোগ হাতছাড়া করে মাথায় হাত বেনজেমার

লিগে ছন্দহীনতা

চ্যাম্পিয়নস লিগে ছন্দে থাকলেও বিশ্বকাপের পর লা লিগায় ছন্দহীন রিয়াল মাদ্রিদ। বিশ্বকাপের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১২টি ম্যাচ খেলেছে আনচেলত্তির দল। এর মধ্যে টানা তিন ম্যাচে জয় নেই একবারও। ৬ জয়ের বিপরীতে পয়েন্ট খুইয়েছে বাকি অর্ধেকে (৩ হার, ৩ ড্র)।

বিশ্বকাপ বিরতির ৩ মাস পেরিয়ে গেলেও দলকে গুছিয়ে তুলতে পারেননি আনচেলত্তি

নতুন বছরে লিগের প্রথম ম্যাচেই হার ভিয়ারিয়ালের কাছে। এরপর স্প্যানিশ সুপার কাপের সেমিফাইনালে টাইব্রেকারে জিতে ফাইনালে উঠলেও শিরোপা হারাতে হয় বার্সার কাছে। শুরুর সেই ছন্দহীনতা এখনো তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে বলে মনে করেন আনচেলত্তি। টানা তৃতীয় এল ক্লাসিকো হারের পর রিয়াল কোচের কথায় ছিল বছর শুরুর ছন্দহীনতার কথা, ‘জানুয়ারি মাসটা আমাদের জন্য কঠিন ছিল। বিশ্বকাপ বিরতির পর গুছিয়ে উঠতে সময় লেগেছে।’