ম্যান সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর বায়ার্ন সতীর্থ লেরয় সানের মুখে ঘুষি মারেন সাদিও মানে
ম্যান সিটির বিপক্ষে ম্যাচের পর বায়ার্ন সতীর্থ লেরয় সানের মুখে ঘুষি মারেন সাদিও মানে

সানে-মানের ঘুষিকাণ্ড নিয়ে টুখেল, ‘সব মিটমাট হয়ে গেছে’

উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে ম্যানচেস্টার সিটির বিপক্ষে ৬৯ মিনিটে বদলি নামেন সাদিও মানে। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে কিছু একটা নিয়ে বায়ার্ন মিউনিখ সতীর্থ লেরয় সানের সঙ্গে তর্কে জড়ান সেনেগালের তারকা। ৩–০ ব্যবধানে হারের পর সেই তর্ক আরও বাড়ে।

শান্ত স্বভাবের মানে ড্রেসিংরুমে হঠাৎ মাথা গরম করে সানের মুখে ঘুষি মেরে বসেন। এতে সানের ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরে। পরে অবশ্য দলের অনুশীলনে সতীর্থের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন মানে। সেনেগালিজ তারকাকে জার্মান উইঙ্গার ‘ক্ষমা করে দিলেও’ ক্লাব কর্তৃপক্ষ ছাড় দেয়নি।

অসদাচরণের দায়ে মানেকে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ ও জরিমানা করে বায়ার্ন মিউনিখ। এ কারণে জার্মান বুন্দেসলিগায় আজ হফেনহাইমের বিপক্ষে স্কোয়াডে রাখা হয়নি ৩১ বছর বয়সী ফরোয়ার্ডকে। মানে না থাকলেও সানে অবশ্যই শুরু থেকেই খেলেছেন। কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি। ঘরের মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় হফেনহাইমের সঙ্গে ১–১ গোলে ড্র করেছে বায়ার্ন।

হফেনহাইমের সঙ্গে ড্রয়ের পর হতাশ মুলার–মুসিয়ালারা

ক্লাব কর্তৃপক্ষ মানেকে শাস্তি দিলেও দুই শিষ্যের মধ্যকার ঝামেলা মেটাতে এগিয়ে এসেছেন কোচ টমাস টুখেল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘ঘটনার পরপরই ওদের ডেকে নিয়ে কথা বলেছি। কারণ, এটা ছিল বিশ্রী ব্যাপার। অনুশীলনে নামার আগেই ঝামেলা মিটিয়ে ফেলা দরকার ছিল। আমরা সব সমস্যার সমাধান করে ফেলেছি। ওরা একসঙ্গে অনুশীলনও করেছে।’

সতীর্থদের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝির ঘটনা নতুন নয় বলে মত সদ্য বায়ার্নের দায়িত্ব নেওয়া টুখেলের, ‘আমরাই এ ধরনের ঘটনা ঘটনো প্রথম দল নই। শেষ দলও থাকব না। তবে খুব সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়েছে। সবচেয়ে বড় ব্যাপার ট্রেনিংয়ে আবার ইতিবাচক ও উদ্দীপনাময় পরিবেশ ফিরে এসেছে।’

মানে ভুল করে থাকলেও পাশে দাঁড়িয়েছেন টুখেল। শিষ্যের পেশাদারত্বেরও প্রশংসা করেছেন, ‘ঘটনার পর আমিই ওর প্রথম আইনজীবী ও প্রথম রক্ষক ছিলাম। ওকে আমি বহুদিন ধরে চিনি, পারিপার্শ্বিক ব্যাপারগুলো জানি। ওর প্রতি আমার পূর্ণ সমর্থন আছে। প্রত্যেকেরই ভুল করার অধিকার আছে।’