প্রথম দেখায় এটিকে আরেকটি ব্যবহৃত ন্যাপকিন পেপার মনে হতে পারে। কিন্তু যেনতেন হলে কি আর সেটার দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার মার্কিন ডলার (প্রায় ৭ কোটি টাকা) হয়!
পৃথিবীতে এমন কোন ন্যাপকিন পেপার আছে, যেটার দাম এত বেশি। আছে এবং সেটা লিওনেল মেসির ন্যাপকিন পেপার ছাড়া আর কারই বা হতে পারে!
১৩ বছর বয়সী মেসি কীভাবে একটি ন্যাপকিন পেপারে বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন, গল্পটা সবার জানা। মেসি-বার্সা সম্পর্কের সেই বিখ্যাত ‘দলিল’, মানে ন্যাপকিন পেপার নিলামে উঠতে যাচ্ছে, সেই খবরও পুরোনো। এবার নিলামের দিনক্ষণও চূড়ান্ত হয়ে গেল।
আগামী ১৮ মার্চ মেসির সেই ন্যাপকিন পেপার নিলামে তোলা হবে। নিলাম চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত। যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত নিলামকারী প্রতিষ্ঠান বোনহামস এর আয়োজন করতে যাচ্ছে। এর আগে নিউইয়র্কে ন্যাপকিন পেপারের প্রদর্শনী চলছে। নিউইয়র্কের পর প্যারিস ও লন্ডনেও এর প্রদর্শনী হবে। তারপর তোলা হবে নিলামে।
ন্যাপকিন পেপারের প্রদর্শনী এবং এর নিলামের ব্যাপারে বোনহামসের দুষ্প্রাপ্য বই এবং পাণ্ডুলিপি বিভাগের প্রধান ইয়ান এহলিং বলেছেন, ‘মেসির ক্যারিয়ারের সূচনালগ্ন এখানে নথিভুক্ত করা হয়েছে। এটা সত্যিই অবিশ্বাস্য।’
ন্যাপকিনের দাম ৬ লাখ ৩৫ হাজার পর্যন্ত উঠতে পারে বলে ধারণা করা হলেও এহলিংয়ের আশা আরও বেশি, ‘আমি আরও বেশি দামে এটা বিক্রি করতে পারব বলে আশা করতেই পারি।’
এর আগে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতানো মেসির কাতার বিশ্বকাপের ৬টি জার্সি নিলামে ৭৮ লাখ ডলারে (৮৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা) বিক্রি করা হয়েছে। সেবার নিলামের আয়োজন করেছিল বিখ্যাত ব্রোকার হাউস সোথেবি’স।