বেঙ্গালুরুতে ঈদের দিন জাতীয় দলের ফুটবলার ও স্টাফরা
বেঙ্গালুরুতে ঈদের দিন জাতীয় দলের ফুটবলার ও স্টাফরা

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ

ঈদ আনন্দে মোরছালিন–তপুদের জন্য ৫০ লাখ টাকার বোনাস

সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে বাংলাদেশ সর্বশেষ খেলেছিল ২০০৫ সালে করাচিতে। ২০০৯ সালে সর্বশেষ খেলেছে সেমিফাইনালে। ১৪ বছর পর সেমিফাইনালে ওঠার লক্ষ্য পূরণ হয়েছে কাল। এবার অপেক্ষা ১৮ বছর পর ফাইনাল ওঠার। তবে বেঙ্গালুরুতে সাফের ফাইনালে খেলা কঠিনই। ১ জুলাই প্রথম সেমিফাইনালে বাংলাদেশের সামনে টুর্নামেন্টের অন্যতম ফেবারিট কুয়েত।

ফাইনালে উঠতে না পারলে অবশ্য হতাশা থাকবে না বাংলাদেশের। সেমিফাইনালে উঠেই যে নিজেদের সফল ভাবছেন জামাল ভূঁইয়ারা। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনও ( বাফুফে) খুশি। গতকাল ভুটান ম্যাচের আগে বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন বেঙ্গালুরুতে টিম ম্যানেজমেন্টকে জানিয়ে দেন, সেমিফাইনালে উঠতে পারলে দলকে পুরস্কার দেওয়া হবে। কত টাকা পুরস্কার দেবেন সভাপতি, তা জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার আমের খান। তিনি প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘সভাপতি ভুটান ম্যাচের আগেই বলেছেন, ৫০ লাখ টাকা দেবেন যদি সেমিফাইনালে ওঠে বাংলাদেশ।’ জানা গেছে, ফাইনালে উঠলেও বাফুফের পক্ষ থেকে পুরস্কার থাকছে। টাকার অঙ্কটা হতে পারে ৫০ লাখ।

ঈদের নামাজ পড়তে যাওয়ার পথে এভাবেই ক্যামেরাবন্দী হন ফুটবলাররা

সেমিফাইনালে উঠলে কী দেবেন, এমন প্রশ্ন ফুটবলাররা আগেই করেছেন বাফুফের সভাপতিকে। সাফে যাওয়ার আগে জামাল ভূঁইয়ার সঙ্গে কাজী সালাউদ্দিনের বাসায় গিয়েছিলেন তপু। সেই প্রসঙ্গ টেনে আজ বেঙ্গালুরু থেকে প্রথম আলোকে তপু বলেন, ‘সভাপতিকে সেদিনই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম, সেমিফাইনালে উঠতে আপ্রাণ চেষ্টা করব আমরা। সঙ্গে বলেছিলাম, সেমিতে উঠলে কিন্তু বোনাস দিতে হবে আমাদের।’

সেমিফাইনালে উঠে ফুটবলাররা এখন উজ্জীবিত। তাঁরা ফাইনালের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও সারা দেশে আজ পালিত হচ্ছে ঈদুল আজহা। ফুটবলাররা নেই তাঁদের পরিবারের কাছে। সবাই পরিবারকে মিস করেছেন। আগের রাতে ভুটানকে হারিয়ে হোটেলে ফেরার পর অনেকের ঘুম হয়নি। তার ওপর ফুটবলাররা আজ সকাল ৯টায় বেঙ্গালুরুতে ঈদের নামাজ পড়েছেন স্থানীয় রিসালদার পার্কে। হোটেল থেকে সেই পার্ক হেঁটে ৮ থেকে ১০ মিনিটের পথ। নামাজ পড়েই সবাই আবার হোটেলে ফেরেন। কোথাও ঘোরাঘুরি হয়নি। বেঙ্গালুরুতে নেই কোনো ঈদের আমেজ।

ঈদের নামাজ শেষে ফুটবলার ও স্টাফদের কোলাকুলি

নামাজের পর হোটেলে আলাদা করে সেমাই ও পায়েসের ব্যবস্থা করা হয় ফুটবলারদের জন্য। এমনিতে কোচ হাভিয়ের কাবরেরা মিষ্টি খেতে দেন না তাঁর শিষ্যদের। বাংলাদেশের ফুটবলারদের মেন্যুতে মিষ্টি মোটামুটি নিষিদ্ধই বলা চলে। তবে ঈদের জন্য আজ হালকা একটু ছাড় দেন কোচ।

ফুটবলারদের ঈদ বলতে এটুকুই। তপু জানিয়েছেন, সাফের সেমিফাইনালে ওঠায় ফুটবলারদের সবারই মন অবশ্য ভালো। সেমিফাইনালে না উঠলে দিনটা হয়তো খারাপ যেত তাঁদের। আজ এমনিতে মাঠের অনুশীলন নেই। তবে জিম-সুইমিং সেশন আছে হোটেলে।

ঈদের দিনে এক টুকরো সেলফি। বেঙ্গালুরুতে আজ ফুটবলারদের ঈদের দিনটা হালকা মেজাজেই কাটছে

ম্যানেজার আমের খান জানান, ফুটবলারদের আসলে সে অর্থে ছুটি নেই। কোচ গ্রুপ করে জিমে নিচ্ছেন সবাইকে। চলছে রিকভারি সেশন। সামনে কুয়েতের মতো প্রতিপক্ষ। কোচের মাথায় ঘুরছে কুয়েত ম্যাচের ছক।