রামোসের লাল কার্ড, রেঁসের মাঠে পিএসজির হোঁচট

চোটের কারণে লিওনেল মেসি খেলতেই পারেননি। নেইমার নেমেছেন বদলি, কিন্তু কিছু করতে পারেননি। কিলিয়ান এমবাপ্পে খেলেছেন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, কিন্তু চেনা রূপে দেখা যায়নি তাঁকেও। ওদিকে সের্হিও রামোস আবার প্রথমার্ধেই মাঠ ছেড়ে গেছেন লাল কার্ড দেখে। রেঁসের মাঠে তাই রাতটা ভালো গেল না পিএসজির। অর্ধেকটা সময় ১০ জন নিয়ে খেলে গোলশূন্য ড্র করেছে ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের দল।   

লাল কার্ড দেখেছেন রামোস

চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকার সঙ্গে ড্রয়ের পর লিগেও আবার পয়েন্ট হারাল পিএসজি। তবে ১০ ম্যাচে কোনো হার নেই ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের, জয় ৮টি। ২৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগের শীর্ষেও যথারীতি পিএসজি। সমান ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে মার্শেই।

মেসি-নেইমার একাদশে না থাকায় আক্রমনভাগে কিলিয়ান এমবাপ্পের সঙ্গে নামানো হয় পাবলো সারাবিয়া ও কার্লো সোলেরকে। কিন্তু কেউই আর্জেন্টিনা-ব্রাজিলের দুই মহাতারকার বিকল্প হতে পারেননি। অবশ্য নেইমার পরে সোলেরের বদলি নেমেছেন ৫৭ মিনিটে। কিন্তু তিনিও এদিন ম্লান। আর এমবাপ্পে তো ছন্দই খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এমন সব সুযোগ নষ্ট করেছেন সবাই! এমবাপ্পে একবার গোলরক্ষককে একা পেয়ে তাঁর গায়ে বল মেরেছেন। নেইমারও একা পেয়েছিলেন গোলরক্ষককে, মেরেছেন অনেক বাইরে দিয়ে।

হাতাহাতিতে জড়িয়ে শেষদিকে হলুদ কার্ড দেখেন নেইমার

এর মধ্যে আবার হলুদ কার্ড দেখার পর রেফারির সঙ্গে বাজে আচরণ করে সেটাকে লাল কার্ডে বদলে নেন রামোস। ক্যারিয়ারে এ নিয়ে ২৮তম বার লাল কার্ড দেখতে হলো স্প্যানিশ ডিফেন্ডারকে। শেষ দিকে আবার নেইমারও হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন রেঁসের খেলোয়াড়দের সঙ্গে, দেখেন হলুদ কার্ডও। সব মিলিয়ে মাঠে উত্তেজনার কমতি ছিল না। শুধু গোলটাই হলো না, এই যা!