বয়স তাঁর মাত্র ২০ বছর। এই বয়সেই স্মৃতির সংগ্রহশালায় অনন্য এক অভিজ্ঞতা জমাতে পেরেছেন আর্জেন্টাইন মিডফিল্ডার মাতিয়াস সুলে। লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর সতীর্থ হতে পারা হাতে গোনা কয়েকজন ফুটবলারের মধ্যে তিনিও যে একজন।
রোনালদোর সঙ্গে জুভেন্টাসে খেলেছেন সুলে। মেসির সঙ্গে মাঠে খেলা না হলেও একই ড্রেসিংরুম ভাগাভাগি করেছেন। ২০২২ সালে লিওনেল স্কালোনির আর্জেন্টিনা দলে সুলে ডাক পেয়েছিলেন বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে ভেনেজুয়েলা ও ইকুয়েডরের বিপক্ষে ম্যাচ দুটির জন্য।
মেসি ও রোনালদো—দুজনকে কাছ থেকে দেখে আপ্লুত আর্জেন্টিনার তরুণ মিডফিল্ডার। জুভেন্টাস থেকে নিজের সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য নাম লিখিয়েছিলেন রোনালদো। সেখান থেকে পর্তুগালের তারকা ২০২৩ সালে নাম লেখান সৌদি আরবের ক্লাব আল নাসরে।
রোনালদো ইউরোপ ছেড়ে সৌদি আরবের ফুটবলে নাম লেখানোর আগে একটি মৌসুম তাঁর সঙ্গে জুভেন্টাসে খেলেছেন সুলে। তিনি নিজেও এখন ধারের চুক্তিতে ফ্রোসিনোনেতে খেলছেন। কিন্তু ওই এক মৌসুমেই রোনালদোকে দেখে ভালো লেগেছে তাঁর। আর মেসিকে দেখার অভিজ্ঞতা এমন হয়েছিল যে আর্জেন্টিনার ফুটবল আইকনের সঙ্গে মেলানো হাত আর ধোবেন না বলেই অনুভূতি হয়েছিল সুলের।
ইএসপিএন ফ্যানসের অনুষ্ঠানে রোনালদোকে নিয়ে সুলে বলেছেন, ‘সে কত ভালো মানুষ, তা দেখে আমি বিস্মিত হয়েছিলাম। আমি তাকে চিনতাম না। কিন্তু তার সম্পর্কে যা বলা হতো, তা শুনেছি। সে জিনিয়াস। আমার মনে আছে, একদিন আমরা খেতে গিয়েছিলাম এবং সে আমার পাশে বসেছিল। আমি তার সঙ্গে কথাই বলিনি। কিন্তু সবাই চলে যাওয়ার পর সে আমার সঙ্গে কথা বলেছে। সে তার গাড়ি আর মাদ্রিদের জীবন নিয়ে অনেক কিছু বলেছে।’
রোনালদোর সঙ্গে ২০২০–২১ মৌসুমে খেলার পর সুলে ২০২২ সালে ডাক পান আর্জেন্টিনা দলে। যদিও সেই সময় তাঁর আর্জেন্টিনা দলের হয়ে অভিষেক হয়নি। কিন্তু মেসিকে কাছ থেকে দেখার অভিজ্ঞতাও তিনি জীবনে কখনো ভুলবেন না, ‘আমি একটু দেরিতে পৌঁছেছিলাম। আমি যখন কক্ষে ঢুকি, সে–ই এগিয়ে এসে হ্যালো বলেছিল। আমি বলেছিলাম, আমি আর কখনো আমার হাত ধোবো না...আমি খুব বেশি কথা বলিনি। কিন্তু সে খুব ভালো মানুষ।’