বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ইংল্যান্ডের ফুটবলার হামজা চৌধুরীকে নিয়ে আলোচনা-গুঞ্জন বেশ কিছুদিন ধরেই। তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলবেন কি না, আদৌ খেলতে পারবেন কি না, আলোচনা এসব নিয়েই। বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের কোচ হাভিয়ের কাবরেরা তো দারুণ আশাবাদী, হামজা বাংলাদেশের হবেন অচিরেই। বাফুফে সহসভাপতি ও জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রধান কাজী নাবিল আহমেদও জানিয়েছেন, হামজার সঙ্গে কথাবার্তা অনেক দূর এগিয়েছে। তিনি অচিরেই ভালো খবর দেওয়ার কথা বলেছেন। লেস্টার সিটির হামজা নিজেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চান।
আজ দীর্ঘ তিন মাস পর বাফুফেতে এসে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনকেও হামজাকে নিয়ে কথা বলতে হলো। তিনিও তাঁর ব্যাপারে ইতিবাচক কথাই বলেছেন।
গত ডিসেম্বরে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হন বাফুফে সভাপতি। বাইপাস অস্ত্রোপচার লাগে তাঁর। এরপর ফেব্রুয়ারি মাসে অবকাশযাপন ও চিকিৎসা–সংক্রান্ত কিছু ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জার্মানিতে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফিরে আজ বুধবারই প্রথম এসেছিলেন বাফুফেতে। সেখানে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে সালাউদ্দিন কথা বলেন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে।
হামজাকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সালাউদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি অত সহজ না (হামজার বাংলাদেশের হয়ে খেলা)। আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। তবে সে বা আমরা চাইলেই তো হবে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি লাগবে। হামজার ক্লাবকে রাজি হতে হবে, ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের রাজি হতে হবে। বাফুফে থেকে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। হামজাকে আমরা আনতে চাই।’
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাজী সালাউদ্দিনের উক্তি ব্যবহার করে একটি গ্রাফিক্যাল কার্ড প্রায়ই দেখা যায়। হামজার ব্যাপারে বাফুফে সভাপতি নাকি বলেছেন, তাঁকে বাংলাদেশের লিগে খেলে যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। এক সাংবাদিক এ ব্যাপারে সালাউদ্দিনের বক্তব্য জানতে চাইলে তাঁর সাফ কথা, ‘আমাকে দেখলে কি পাগল মনে হয়! হামজাকে বাংলাদেশের লিগে কেন যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। আমি তো পাগল না, আমি নিজে ফুটবলার ছিলাম। আমি অমন কথা কেন বলতে যাব?’