যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবলে নাম লেখানোর পর এই প্রথম গোলহীন লিওনেল মেসি। কিন্তু দলকে জেতাতে গোল কি করতেই হবে! গোল করা ছাড়াও তো প্রতিপক্ষের ওপর ছড়ি ঘোরাতে পারেন কিংবদন্তি ফুটবলাররা। গোল না করেও হতে পারেন ম্যাচের নায়ক।
ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে আজ এফসি সিনসিনাটির বিপক্ষে ইন্টার মায়ামির জয়েও সেটাই হয়েছে। মেসি গোল পাননি, তবে মায়ামি যে টাইব্রেকারে ৫–৪ গোলে জিতে ফাইনালে উঠল, সেটাতে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে দুটি গোল করিয়ে নায়ক আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়কই।
ম্যাচের তখন ৬৮ মিনিট। সিনসিনাটি ২–০ গোলে এগিয়ে। এমন সময়ে সিনসিনাটির বক্সের বাঁ দিকে ফ্রি–কিক পায় মায়ামি। স্বাভাবিকভাবেই সেই ফ্রি–কিক নিতে যান মেসি। অনেকেই হয়তো মনে করেছিলেন ওই পজিশন থেকে মেসি কিকটি সরাসরি গোলেই নেবেন। সেটা না করে মেসি বল ফেলেন বক্সে। আরও স্পষ্ট করে বললে লিওনার্দো কাম্পানার মাথায়। ভালো হেডে স্কোরলাইন ২–১ করেন তিনি।
মায়ামির দ্বিতীয় গোলটি শেষ বাঁশি বাজার মিনিট দুয়েক আগের। ম্যাচ হেরে তাদের সামনে তখন ইউএস ওপেনের সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ার চোখ রাঙানি। এমন সময়ে বক্সের বাঁ দিক দিয়ে বল নিয়ে এগিয়ে যান মেসি। ক্রস দেন বক্সের মধ্যে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাম্পানাকে। আবারও আরেকটি হেডে দলকে ২–২ গোলে সমতায় ফেরান কাম্পানা।
অতিরিক্ত সময়ে গড়ানো ম্যাচে দুই দলই একটি করে গোল পেলে ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ৩–৩ সমতায়। টাইব্রেকারে গড়ানো ম্যাচে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মেসির দল।
ম্যাচ শেষে মেসির ওই দুটি অ্যাসিস্ট নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন কোচ জেরার্দো মার্তিনো।
এর আগে মেসিকে বার্সেলোনা ও আর্জেন্টিনা দলে কোচিং করানো আর্জেন্টাইন কোচ বলেছেন, ‘সৌভাগ্যক্রমে মেসি একজন ফুটবলার আর প্রেরণাদায়ী নেতা হিসেবে আমাদের যা দিচ্ছে, সেটা অসাধারণ।’ মার্তিনো এরপর যোগ করেন, ‘ম্যাচের কঠিন পরিস্থিতিতেই শুধু নয়, প্রতিটি মুহূর্তের উত্তর তার কাছে আছে।’