লিওনেল মেসি
লিওনেল মেসি

‘মেসিকে যে চাপ নিতে হয়, সাধারণ মানুষ সেই চাপ নিতে পারত না’

সমালোচনার ঝড় আর ব্যর্থতার হতাশা—আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে সামলেছেন লিওনেল মেসি। একটা অভিযোগ মেসির সঙ্গী সেই শুরু থেকেই—মেসি যতটা তাঁর পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনার, ততটা আর্জেন্টিনার নন!

তবে সময় এখন বদলেছে। মেসি এখন আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে নিলে হয়ে ওঠেন আরও মরিয়া। জাতীয় দলের হয়ে কোপা আমেরিকা জয়ের পরই মেসি চোখ রেখেছেন বিশ্বকাপ শিরোপার দিকে।

চলতি বিশ্বকাপেও দারুণ ছন্দে আছেন মেসি। গোল পেয়েছেন তিনটি। গোলে সহায়তাও করেছেন। তবে বিশ্বকাপে মেসি যতই ভালো খেলুক না কেন, শিরোপা জিততে না পারলে তাঁকে ব্যর্থদের কাতারেই রাখা হবে। যেন আর্জেন্টিনাকে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন করার দায়িত্ব শুধু মেসিরই!

শিরোপা জিততে হলে জ্বলে উঠতে হবে মেসিকেই

আর্জেন্টিনা এখন আর মেসিনির্ভর নয়—এমন কথা যতই বলা হোক না কেন, গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মেসিকেই জ্বলে উঠতে হচ্ছে। সম্ভবত সে কারণেই বার্সেলোনার সাবেক কোচ কার্লোস রেশাক বলেছেন, মেসিকে যতটা চাপ নিতে হয়, অন্য কোনো মানুষ এতটা চাপ নিতে পারত না। মেসিকে বার্সায় নিয়ে আসা এই কোচের চাওয়া বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েই অবসর নিক মেসি।

খেলোয়াড় ও ম্যানেজার হিসেবে বার্সায় ৩৮ বছর কাটানো রেশাক বলেছেন, ‘যখন মেসি পোল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করেছিল, আমি তখনই বলেছি, এই তো মানুষ আবারও মেসিকে নিয়ে প্রশ্ন তুলবে। আসলে মেসিকে যতটা চাপ নিয়ে খেলতে হয়, অন্য কোনো মানুষ এতটা চাপ নিতে পারত না। সব মানুষ ভাবে মেসি সব সমস্যার সমাধান করতে পারে, কিন্তু সব সময়ই এমন করা তো কঠিন। তাকে অনেক খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে।’

এমনকি এই কোচ ম্যারাডোনা ও মেসির মধ্যে তুলনায় মেসির পক্ষেই বাজি ধরেন, ‘অনেক আর্জেন্টাইনই মেসি ও ম্যারাডোনার মধ্যে তুলনায় ম্যারাডোনাকে এগিয়ে রাখেন। কিন্তু আমার মনে হয় শিরোপা, মাঠের পারফরম্যান্সের দিক থেকে মেসি ও ম্যারাডোনার তুলনা হওয়া উচিত নয়। মেসি ক্যারিয়ারে ১০০০ ম্যাচ খেলেছে। গোল করেছে ৮০০। কতগুলো গোল করিয়েছে তা আমার জানা নেই। আপনি একজন ফুটবলারের কাছে আর কী চাইতে পারেন।’

স্পেনের হয়ে খেললেও কার্লোস রেশাক চান এবার শিরোপা জিতুক আর্জেন্টিনা। সেটা অবশ্য মেসির জন্য, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই মেসি শিরোপা জিতুক। আর্জেন্টিনা শিরোপা জিতলে আমি ততটাই খুশি হব, যতটা স্পেন জিতলে হব। মেসির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েই অবসর নেওয়া উচিত। কারণ, বিশ্বকাপ জেতার পর আর কিছু জেতার বাকি থাকে না।’