বায়ার্নকে বিদায় করে ফ্রেইবুর্গের উৎসব
বায়ার্নকে বিদায় করে ফ্রেইবুর্গের উৎসব

রুদ্ধশ্বাস লড়াই হেরে জার্মান কাপ থেকে বায়ার্নের বিদায়

অতিরিক্ত সময়ের গোলে বায়ার্ন মিউনিখকে জার্মান কাপ থেকে বিদায় করে দিয়েছে ফ্রেইবুর্গ। ৯৫ মিনিট পর্যন্ত ম্যাচটা সমতাতেই ছিল। কিন্তু জামাল মুসিয়ালার হ্যান্ডবলে ফ্রেইবুর্গ পেনাল্টি পেলে বদলে যায় দৃশ্যপট। স্পট কিক থেকে লুকাস হুয়েলার গোল করে দলকে নিয়ে যান সেমিফাইনালে। রোমাঞ্চকর কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রেইবুগের জয় ২-১ গোলে।

ইউলিয়ান নাগলসমানের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার পর বায়ার্নের হয়ে এটি ছিল কোচ থমাস টুখেলের দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথম ম্যাচে জিতলেও দ্বিতীয় ম্যাচে হারল বায়ার্ন। এই হারের সঙ্গে একটি শিরোপা জয়ের সম্ভাবনাও শেষ হয়ে গেল টুখেলের।

ঘরের মাঠে শুরু থেকে আক্রমণ ও বলের দখলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ১৯ মিনিটে জশোয়া কিমিখের কর্নারে হেড থেকে দুর্দান্ত এক গোল করে জার্মান পরাশক্তিদের এগিয়ে দেন ফরাসি তারকা দায়োত উপামেকানো। এই লিড অবশ্য ৮ মিনিটের বেশি ধরে রাখতে পারেনি বায়ার্ন। ডি-বক্সের বাইরে নিকোলাস হফলারের বুলেট গতির শটে ২৭ মিনিটে সমতায় ফেরে ফ্রেইবুর্গ।

জার্মান কাপ থেকে বিদায়ের পর বায়ার্ন খেলোয়াড়েরা

লিড হারালেও বলের নিয়ন্ত্রণ ও আক্রমণে প্রতিপক্ষকে চাপে রেখে চেষ্টা করে যায় বায়ার্ন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোলটি যেন সোনার হরিণ। গোলের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে বিরতিতে যেতে হয় বায়ার্নকে।

বিরতির পরও আক্রমণে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। তুলনামূলক পিছিয়ে থাকলেও ফ্রেইবুর্গ কিন্তু সুযোগ পেলেই চেষ্টা করছিল বায়ার্নকে চাপে ফেলার। যদিও দুই দলের প্রচেষ্টা ৯০ মিনিট পর্যন্ত কোনো গোল এনে দিতে পারেনি। বায়ার্ন বড় ধাক্কা যোগ করা সময়ে। হুয়েলারের পেনাল্টি গোলে হৃদয় ভাঙে তাদের।

একই রাতে রান্দাল কোলো মুয়ানির দুই মিনিটে দুই গোলে ইউনিয়ন বার্লিনকে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্ট। গোল দুটি এসেছে ১১ ও ১২ মিনিটে।