দুই পিএসজি সতীর্থ নেইমার ও মেসি
দুই পিএসজি সতীর্থ নেইমার ও মেসি

এ মৌসুমে যেখানে সবার ওপরে মেসি–নেইমার

গত মৌসুমে ভুলে যাওয়ার মতো সময় পার করেছিলেন লিওনেল মেসি। পিএসজিতে প্রথম মৌসুমে নিজেকে হারিয়ে খুঁজেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা। অনেকেই তখন মেসির নামের পাশে দাঁড়িও বসিয়ে দিয়েছিলেন। তবে ঘুরে দাঁড়াতে খুব বেশি সময় নেননি মেসি। চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ভিন্ন রূপে দেখা যায় তাঁকে। গোল করা এবং করানো—দুই ক্ষেত্রেই নিজের সেরাটা নিয়ে হাজির হন মেসি।

যা মেসি ধরে রাখেন বিশ্বকাপের মঞ্চে এবং পরবর্তী সময়েও। বিশ্বকাপ জয়ের পর ক্লাবের জার্সিতে ছন্দটা ধরে রেখেছেন মেসি। ক্লাবে মেসিকে শুরু থেকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে যাচ্ছেন নেইমারও। চোটে পড়ার আগপর্যন্ত দারুণ ছন্দেও ছিলেন এই ব্রাজিলিয়ান তারকা।

এই দুজন মিলে এবারের মৌসুমে এমন এক কীর্তি গড়েছেন, যা আর কেউ করতে পারেননি। ঘরোয়া লিগে ন্যূনতম ১০ গোল করা এবং ১০ গোলে সহায়তা করায় বাকিদের পেছনে ফেলেছেন এ দুজন।

সর্বশেষ লিগ ‘আঁ’র ম্যাচে তুলুসের বিপক্ষে গোল করেন মেসি। এই গোলটি এবারের লিগে তাঁর দশম। এর আগে লিগে ১০টি অ্যাসিস্টও করেছেন ‘এলএম টেন’। সামগ্রিকভাবে মেসির অবদান রয়েছে ২০ গোলে। মেসির মতো এই কীর্তি আছে তাঁর পিএসজি সতীর্থ নেইমারেরও। ব্রাজিলিয়ান তারকা অবশ্য মোট হিসাবে মেসির চেয়ে এগিয়েই আছেন।

নেইমার মেসির সমান ১০ গোলে সহায়তা করলেও নিজে করেছেন ১২ গোল। সব মিলিয়ে লিগের পিএসজির ২২ গোলে সরাসরি অবদান আছে নেইমারের। ইউরোপের শীর্ষ পাঁচ লিগে গোল করায় অনেকে এ দুজনের চেয়ে এগিয়ে থাকলেও সামগ্রিক হিসাবে মেসি–নেইমারের ধারেকাছে শুধু একজন।

বিশ্বকাপ ফাইনালে শেষ মুহূর্তে গোলবঞ্চিত হওয়া কোলো মুয়ানি দুই পিএসজি তারকার কাছাকাছি পৌঁছাতে পেরেছেন। এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টের এই ফুটবলার ১০টি অ্যাসিস্ট করলেও গোল করেছেন ৯টি।

মেসি–নেইমারের গোল উদ্‌যাপন

গোলে শট নেওয়া এবং বড় সুযোগ তৈরিতে অবশ্য মেসি নেইমারের চেয়ে এগিয়েই আছেন। লিগ ‘আ’তে ম্যাচ প্রতি সর্বোচ্চ ৪.৪টি করে শট নিয়েছেন মেসি। আর বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টাইন তারকা বড় সুযোগ তৈরি করেছেন ১৭টি।

এই মৌসুমে পিএসজির হয়ে একাধিক শিরোপাকে পাখির চোখ করেছেন মেসি-নেইমাররা। যেখানে আজ রাতে ফ্রেঞ্চ কাপে বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য। ফরাসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের ম্যাচে আজ রাতে পিএসজির প্রতিপক্ষ মার্শেই।