লিভারপুল, সাউদাম্পটনের পর লেস্টার সিটি—টানা তিন ম্যাচে শুরুর একাদশে জায়গা হয়নি ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। এমন অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা তাঁর আগের ১৭ বছরে হয়নি।
প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে আজ আর্সেনালের মুখোমুখি হবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ওল্ড ট্রাফোর্ডের এ ম্যাচেও শুরুতে বেঞ্চে বসে থাকতে হতে পারে পাঁচবারের ব্যালন ডি’অরজয়ী পর্তুগিজ তারকাকে। অন্তত কোচ এরিক টেন হাগের কথায় তেমনই ইঙ্গিত।
৩৭ বছর বয়সী রোনালদো এ মৌসুমেই ইউনাইটেড ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তা হয়নি। চলতি মৌসুমে ইউনাইটেড যে চারটি ম্যাচ খেলেছে, তার মধ্যে শুধু ব্রেন্টফোর্ডের বিপক্ষে শুরুর একাদশে ছিলেন রোনালদো, ওই ম্যাচ ছিল লিগে ইউনাইটেডের টানা দ্বিতীয় হার।
এরপর যে তিন ম্যাচে রোনালদো শুরুর একাদশে ছিলেন না, তার সব কটিতেই জিতেছে ইউনাইটেড।
জেডন সানচো, মার্কাস রাশফোর্ড এবং ব্রুনো ফার্নান্দেজের সমন্বয়ে গড়া যে আক্রমণভাগ ধারাবাহিক সাফল্য নিয়ে আসছে, তাঁদের সামনের ম্যাচগুলোয়ও একই তালে খেলিয়ে যাওয়ার চিন্তা করছেন ইউনাইটেড কোচ।
রোনালদোকে শুরুর একাদশে না রাখার পেছনে প্রাক–মৌসুমে না থাকার কথাও একটা কারণ বলে জানিয়েছেন টেন হাগ। ইউনাইটেড কোচের মতে, পর্তুগিজ তারকাকে স্নেহ, ভালোবাসা যেমন দেখাতে হবে, তেমনি শাসনও করতে হবে।
টেন হাগ স্পষ্টই বলেছেন, প্রয়োজন ভেদে শিক্ষকসুলভ আচরণও করবেন তিনি, ‘আমি তার বন্ধু হব, কখনো কখনো শিক্ষক হব, নির্ভর করবে পরিস্থিতির ওপর। সবাই জানে সে প্রাক–মৌসুমে ছিল না আর প্রাক–মৌসুম মিস করা ঠিক নয়।’
ইউনাইটেডে রোনালদোর খেলার সুযোগ কতটা—এমন প্রশ্নের উত্তরে টেন হাগ বলেছেন, এটা নির্ভর করবে দলের চাহিদা, নির্দিষ্ট পজিশনে জুটির দাবির ওপর। আর আরেকটি বিষয় হচ্ছে ফিটনেস।