গ্রিসের বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর কিলিয়ান এমবাপ্পের উচ্ছ্বাস
গ্রিসের বিপক্ষে জয়সূচক গোলের পর কিলিয়ান এমবাপ্পের উচ্ছ্বাস

ফ্রান্সের ৬৪ বছরের পুরোনো রেকর্ড ভাঙলেন এমবাপ্পে

নেইমারের সঙ্গে দ্বন্দ্বের গুঞ্জনের রেশ ধরে মৌসুমজুড়েই তাঁকে নিয়ে নানা রকম নেতিবাচক খবর ছিল সংবাদমাধ্যমে। এখন খবর তাঁর পিএসজিতে থাকতে না চাওয়ার গুঞ্জন নিয়ে। কিন্তু কিলিয়ান এমবাপ্পের পারফরম্যান্সে এসব খবরের প্রভাব খুব একটা পড়ে বলে মনে হয় না।

ইউরোর বাছাইপর্বে কাল রাতে এমবাপ্পের একমাত্র গোলেই গ্রিসকে হারিয়েছে ফ্রান্স। তবে এমবাপ্পের গোলটি এসেছে নাটকীয় ঢঙে। ৫৪ মিনিটে পেনাল্টি কিক নেন পিএসজির ফরাসি তারকা। তাঁর সেই কিক ঠেকিয়ে দেন গ্রিসের গোলকিপার। রেফারি আবার পেনাল্টি নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেন। দ্বিতীয় চেষ্টায় বল জালে পাঠাতে কোনো সমস্যা হয়নি এমবাপ্পের।

ম্যাচ শেষে রেফারি আন্তোনিও মাতেও লাহোজের আলিঙ্গনে এমবাপ্পে

৫৫ মিনিটের এ পেনাল্টি গোলে ফ্রান্সের ৬৪ বছরের একটি পুরোনো রেকর্ডও ভেঙেছেন এমবাপ্পে। কিংবদন্তি জাস্ট ফন্টেইনকে পেছনে ফেলে এক মৌসুমে ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড গড়েছেন তিনি।

গতকালের গোলটি নিয়ে এ মৌসুমে পিএসজি ও ফ্রান্সের হয়ে এমবাপ্পের মোট গোল ৫৪টি। এর মধ্যে ৪১টি তিনি করেছেন পিএসজির হয়ে। এই ৪১ গোলের ২৯টি ফ্রেঞ্চ লিগ ‘আঁ’তে, ৭টি চ্যাম্পিয়নস লিগ আর অন্যান্য প্রতিযোগিতায় ৫টি। ফ্রান্সের হয়ে তিনি এ মৌসুমে করেছেন ১৩ গোল।

ফ্রান্সের কিংবদন্তি ফুটবলার জাস্ট ফন্টেইন

ফন্টেইন ১৯৫৭-৫৮ মৌসুমে সর্বোচ্চ ৫৩ গোল করেছিলেন। সেবার তিনি রেসের হয়ে করেছিলেন ৩৯ গোল। আর ফ্রান্সের হয়ে ১৪ গোল। ফ্রান্সের জার্সিতে ১৪ গোলের ১৩টিই ফন্টেইন করেছিলেন ১৯৫৮ সুইডেন বিশ্বকাপে। যেটি এখনো এক বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি গোলের রেকর্ড হয়ে আছে। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া ফন্টেইন ফ্রান্সের হয়ে ২১ ম্যাচ খেলে করেছেন ৩০ গোল।