এএফসি কাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। অথচ পয়েন্টের ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় শেষ ম্যাচে ওডিশা এফসির সঙ্গে ড্র করলেই নকআউট পর্বে যেতে পারত বাংলাদেশের টানা চারবারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু সে ম্যাচে ১-০ গোলে হেরে যায় তারা। জয়-পরাজয় ছাপিয়ে সে ম্যাচে বিতর্ক ছড়ায় উজবেকিস্তানের মিডফিল্ডার আশরোর গফুরভের লালকার্ড। প্রথমার্ধের শেষ দিকে ওডিশার মরোক্কান মিডফিল্ডার আহমেদ জাহুকে পেছন থেকে ফাউল করে লালকার্ড দেখেন তিনি।
বিতর্কটা ছিল, গফুরভের ফাউলটি লালকার্ড দেখানোর মতো গুরুতর ছিল কি না! ১০ জন নিয়ে খেলে ওডিশার কাছে হারের পর কিংস কোচ অস্কার ব্রুজোন সংবাদ সম্মেলনে কোনো রাখঢাক না রেখেই রেফারির কড়া সমালোচনা করেছিলেন।
১১ ডিসেম্বরের সে ম্যাচে রেফারির এত খোলামেলা সমালোচনার পর নিষেধাজ্ঞা কিংবা জরিমানার ঝুঁকিতে ছিলেন ব্রুজোন। তবে এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (এএফসি) ডিসিপ্লিনারি ও এথিকস কমিটি তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তবে তারা উজবেক ফুটবলার আশরোর গফুরভের অপরাধকেই গুরুতর মনে করেছে। এথিকস কমিটি গফুরভকে এএফসির টুর্নামেন্টে ২ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ১ হাজার ডলার আর্থিক জরিমানাও দিতে হবে গফুরভকে।
এএফসি তাদের শৃঙ্খলা নীতিমালার ৩৮.২.৩ ধারা অনুযায়ী এ শাস্তি দিয়েছে। গফুরভকে জরিমানার টাকা ১৫ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী এক মাসের মধ্যে পরিশোধ করতে বলা হয়েছে। ডিসিপ্লিনারি ও এথিকস কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় ১৫ জানুয়ারি। সে বৈঠকের সিদ্ধান্ত গতকাল এএফসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়। গফুরভকে সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়, ভবিষ্যতে এমন অপরাধ আবারও করলে আরও বড় শাস্তি পেতে পারেন গফুরভ।
কিংস এবারের এএফসি কাপে মালদ্বীপের মাজিয়ার কাছে হেরে শুরু করলেও কিংস ঘরের মাঠে ওডিশা, মোহনবাগান ও মাজিয়াকে হারায়। ভুবনেশ্বরে মোহনবাগানের সঙ্গে অ্যাওয়ে ম্যাচে ২-২ গোলে ড্র করলেও ওডিশার কাছে অ্যাওয়ে ম্যাচে হেরে বিদায় নেয়।