সেদিন ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, ‘টুর্নামেন্টের সেরা সেভটা করেছি।’
লুইস সুয়ারেজ যেটিকে টুর্নামেন্টের সেরা সেভ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন, সেটি ছিল হ্যান্ডবল। ২০১০ বিশ্বকাপে উরুগুয়ে–ঘানা কোয়ার্টার ফাইনালের ঘটনা সেটি।
অতিরিক্ত সময়ে ঘানার ডমিনিক আদিইয়াহর হেড চলে যাচ্ছিল উরুগুয়ের জালে। গোলকিপার আশপাশে ছিলেন না। গোললাইন পার হওয়ার মুহূর্তে সেখানে থাকা সুয়ারেজ হাত দিয়ে বল ঠেকিয়ে দেন। হ্যান্ডবলের দায়ে সরাসরি লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে হয় সুয়ারেজকে। গোলবঞ্চিত ঘানা পায় পেনাল্টি।
তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আসামোয়া গায়ান। পেনাল্টি মিস হতে দেখে টানেল দিয়ে বেরিয়ে যেতে থাকা সুয়ারেজ লাফ দিয়ে উল্লাস করেন।
এরপর দুই দলের কেউ গোল করতে না পারলে ১২০ মিনিটের খেলা শেষ হয় ১–১ সমতায়। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। যেখানে ঘানাকে ৪–২ ব্যবধানে হারিয়ে সেমিফাইনালে উঠে যায় উরুগুয়ে।
হাত দিয়ে নিশ্চিত গোল ঠেকিয়ে উরুগুইয়ানদের কাছে নায়ক বনে যান সুয়ারেজ। তবে ঘানার চোখে হয়ে ওঠেন খলনায়ক। বহুল আলোচিত সেই ম্যাচের পর বিশ্বকাপে উরুগুয়ে–ঘানা আবার মুখোমুখি হচ্ছে আগামীকাল।
আজ সংবাদ সম্মেলনে সুয়ারেজকে এক যুগ আগের সেই ঘটনার কথা মনে করিয়ে দেন ঘানার এক সাংবাদিক।
ঘানার মানুষ তাঁকে ‘শয়তান’ মনে করে, তিনি ওই ঘটনার জন্য দুঃখিত কি না জিজ্ঞেস করা হলে উরুগুয়ে তারকার উত্তর, ‘আমি ওই ঘটনায় দুঃখিত নই। আমি হ্যান্ডবল করেছি ঠিকই, কিন্তু ঘানার খেলোয়াড়ই পেনাল্টি মিস করেছে, আমি নই।’
বার্সেলোনা ও লিভারপুলের সাবেক এই ফুটবলার মনে করেন, অপরাধের শাস্তি তিনি মাঠেই পেয়ে গিয়েছিলেন, ‘আমি ক্ষমা চাইতাম, যদি কোনো খেলোয়াড়কে আঘাত করতাম। যেটা করেছি তার জন্য আমাকে লাল কার্ড দেখানো হয়েছে। রেফারি ঘানাকে পেনাল্টিও দিয়েছেন। এখানে আমার কোনো ভুল নেই।’