থমাস মুলার ও সাদিও মানে
থমাস মুলার ও সাদিও মানে

চ্যাম্পিয়নস লিগ

মৃত্যুকূপ থেকে নকআউটে বায়ার্ন

ভিক্টোরিয়া প্লজেনের বিপক্ষে প্রথমার্ধের ৩৫ মিনিটেই ম্যাচ একরকম শেষ করে দিয়েছিল বায়ার্ন মিউনিখ। এ সময়ের মধ্যে প্রতিপক্ষের জালে জার্মান ক্লাবটি বল জড়ায় ৪ বার। বায়ার্নের হয়ে জোড়া গোল করেছেন লিওন গোরেৎজকা। একবার করে লক্ষ্যভেদ করেছেন সাদিও মানে ও থমাস মুলার।

বিরতির পর ৭৫ মিনিটের মধ্যে দুই গোল শোধ ম্যাচে কিছুটা প্রাণ ফেরায় প্লজেন। তবে এরপরও চেক ক্লাবটি এড়াতে পারেনি ৪-২ গোলের হার। এ জয়ে বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলানকে পেছনে ফেলে ‘মৃত্যুকূপ’ থেকে নকআউট পর্ব নিশ্চিত হলো বায়ার্নের।

প্লজেনের মাঠে বায়ার্নকে ১০ মিনিটেই এগিয়ে দেন সাদিও মানে। সতীর্থ গোরেৎজকার সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে দারুণ ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন মানে। চার মিনিট পর আবার বায়ার্নের গোল। এবার লক্ষ্যভেদ করে দলকে এগিয়ে দেন টমাস মুলার। কিংসলে কোমানের অ্যাসিস্টে লক্ষ্যভেদ করেন মুলার।

বায়ার্নের উদ্‌যাপন

এরপর ১০ মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল করে ম্যাচ একরকম শেষই করে দেন গোরেৎজকা। বিরতির পর দুই দলই একাধিক পরিবর্তন আনে। এ সময় বায়ার্নের আক্রমণের ধারও কমে যায়। যে সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই গোল ‍শোধ করে প্লজেন। তবে তাতেও হয়নি এড়ানো যায়নি বড় হার। জার্মান পরাশক্তিদের কাছে ৪-২ গোলে হেরেই মাঠ ছাড়তে হয়েছে প্লজেনকে।

এই জয়ে গ্রুপ ‘সি’ তে সবার ওপরে থেকে পরের পর্বে গেল বায়ার্ন। আর অন্য স্থানটির জন্য লড়ছে ইন্টার মিলান ও বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগের ছন্দ অবশ্য বুন্দেসলিগায় খুঁজে পাচ্ছে না বায়ার্ন। ঘরোয়া লিগে ৯ ম্যাচের ৪টিতে জিতে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে ৩ নম্বরে আছে তারা।

একই রাতে নাটকীয় এক ম্যাচে এইনট্রাখট ফ্রাঙ্কফুর্টকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে টটেনহাম হটস্পার্স। দিয়াচি কামাদার গোলে শুরুতে লিড নেয় ফ্রাঙ্কফুর্ট। এরপর ৩৬ মিনিটের মধ্যে ৩ গোল করে টটেনহাম। জোড়া গোল করেন সন হিউং-মিন। পেনাল্টি থেকে অন্য গোলটি করেন হ্যারি কেন।

জোড়া গোল করেছেন সন

এর মাঝে দ্বিতীয়ার্ধের ৫৯ মিনিটে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন সিলভা মেলো। ১০ জনের স্কোয়াড নিয়ে দমে যায়নি ফ্রাঙ্কফুর্ট। শেষ দিকে ব্যবধান ৩-২ করেছিল জার্মান ক্লাবটি তবে তারপরও এড়াতে পারেনি হার।

রাতের অন্য ম্যাচে বেয়ার লেভারকুসেনের মাঠে ৩-০ গোলে জিতেছে পোর্তো। আর স্পোর্টিং লিসবনকে ২-০ গোলে হারের স্বাদ দিয়েছে মার্শেই।