আবারও বিশ্বকাপ থেকে ব্যর্থতাই সঙ্গী ব্রাজিলের। ফুটবলের চিরন্তন ফেবারিট এই দলটি সর্বশেষ বিশ্বকাপ জিতেছে ২০০২ সালে। এরপর প্রতিবার ফেবারিট হিসেবে বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে প্রতিবারই ফিরতে হয়েছে শূন্য হাতে। ২০১৮ বিশ্বকাপের পর কোচ তিতেকে রেখে দেওয়া হলেও এবার কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর দায়িত্ব ছাড়তে হয়েছে এই কোচকে।
তিতের বিদায়ের পর থেকেই জল্পনা, কে হতে পারেন ব্রাজিলের নতুন কোচ। গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে, ব্রাজিল এবার কোচ খুঁজছে দেশের বাইরে থেকে। এমন কিছু হলে সেটিকে ইতিবাচকভাবেই দেখার কথা বলেছেন ব্রাজিলের কিংবদন্তি ফুটবলার রোনালদো নাজারিও।
ব্রাজিলের ২০০২ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক বলেছেন, ‘আমি ব্রাজিলের কোচ হিসেবে গার্দিওলা, আনচেলত্তি এবং মরিনহোর মতো কোচ দেখতে পছন্দ করব।’
তবে সবাই অবশ্য ‘দ্য ফেনোমেননের’ মতো করে ভাবছেন না। যেমন আরেক ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রিভালদো ব্রাজিলের বাইরে থেকে কোচ আনার পক্ষে নন। এমন কিছু হলে সেটি ব্রাজিলিয়ান কোচদের জন্য অসম্মানজনক হবে বলেই মনে করছেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিদেশি কোচ নিয়োগ নিয়ে নিজের অসম্মতি প্রকাশ করতে গিয়ে রিভালদো বলেছেন, ‘আমি এর সঙ্গে একমত নই। আমাদের দলের জন্য বিদেশি কোচ নিয়ে আসা ব্রাজিলিয়ান কোচদের জন্য অসম্মানজনক।’
ব্রাজিলকে নতুন করে তৈরি করতে পারার মতো যথেষ্ট ভালো কোচ আছেন বলেও মনে করেন রিভালদো, ‘আমি মনে করি, আমাদের এমন কোচ আছে, যারা ব্রাজিল দলের দায়িত্ব নিতে এবং ভালোভাবে কাজ করতে সক্ষম।’
এ সময় উদাহরণ হিসেবে কিছু নামও বলেছেন সাবেক বার্সেলোনা তারকা, ‘যেমন রোসেরিও চেনি, ফার্নান্দো দিনিজ, কুকা, রেনাটো গাউচো এবং দোরিভাল জুনিয়র।’
বিদেশি কোচ সাফল্যের নিশ্চয়তা দেন না উল্লেখ করে রিভালদো আরও যোগ করেন, ‘বিদেশি কোচ আনা মানেই আমরা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে যাচ্ছি না। যদি সেটি হতো, তবে সেই কোচ তো নিজ দেশকেই চ্যাম্পিয়ন করত। ব্রাজিলের চেয়ে নিজের জাতীয় দলকেই তার বেশি প্রয়োজন। কারণ, আমরাই একমাত্র দল, যারা পাঁচবার জিতেছি। কোনো সন্দেহ নেই যে বিদেশি কোচরা ভালো। তবে সেলেসাও হচ্ছে আমাদের নিজেদের। এটা এমন কারও পরিচালনা করা উচিত, যার শিরায় ব্রাজিলিয়ান রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে।’