ইউনাইটেডের বিপক্ষে ব্রাইটনের জয়সূচক গোলটি করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো
ইউনাইটেডের বিপক্ষে ব্রাইটনের জয়সূচক গোলটি করেছেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো

ব্রাইটনের কাছে আবারও হারল ইউনাইটেড

১৪ ম্যাচে ৬ হার, মানে ৪৩ শতাংশ হার। ব্রাইটনের বিপক্ষে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এ হারের শতাংশ ছিল আজকের ম্যাচের আগে। আজ সেটা আরও বাজে হয়ে গেল। ১৫ ম্যাচে ৭ হার, শতাংশের হিসাবে প্রায় ৪৭! প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটন ছাড়া আর কোনো দলের বিপক্ষে শতাংশের হিসাবে এর চেয়ে বেশি হার নেই ইউনাইটেডের।

ব্রাইটনের বিপক্ষে আজকের আগে খেলা সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই হেরেছিল ইউনাইটেড। এই বৃত্ত থেকে বের হতে পারল না আজও। ব্রাইটনের মাঠ থেকে এবার তারা হেরে এসেছে ২–১ গোলে।

ম্যাচটা যেন প্রিমিয়ার লিগে ব্রাইটনের বিপক্ষে ইউনাইটেডের লড়াইয়ের ইতিহাস মেনেই এগোতে শুরু করে। ম্যাচের ৩২ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে তারা। ব্রাইটনকে এগিয়ে দেওয়া গোলটি করেছেন ড্যানি ওয়েলবেক, যিনি কিনা তাঁর পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন ইউনাইটেড দিয়ে।

১–০ গোলে পিছিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করা ইউনাইটেড দ্বিতীয়ার্ধে ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া হয়ে ওঠে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে তারা। কঙ্ক্ষিত গোলও তারা পেয়ে যায় ৬০ মিনিটে। নুসাইর মাজরাউইর সহায়তায় গোলটি করেছেন আমাদ দিয়ালো।

জয়সূচক গোলের পর সতীর্থদের নিয়ে ব্রাইটনের পেদ্রোর উচ্ছ্বাস

৭০ মিনিটে এগিয়েও যেতে পারত ইউনাইটেড। বক্সের ভেতর থেকে বল জালেও পাঠিয়েছিলেন আলেহান্দ্রো গারনাচো। কিন্তু ভিএআর দেখে রেফারি অফসাইডের কারণে গোলটি বাতিল হয়েছে। গারনাচো নন, অফসাইড পজিশনে ছিলেন এবারের লিগে প্রথম ম্যাচে ফুলহামের বিপক্ষে যাঁর একমাত্র গোলে ইউনাইটেড জিতেছিল, সেই জসুয়া জিরকি।

ম্যাচের পরের সময়টাতে দুই দলই সমানে সমান লড়াই করেছে। সমানে সমান এই লড়াইয়ে যোগ করা সময়ের পঞ্চম মিনিটে ব্রাইটনকে জয়সূচক গোল এনে দেন ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড জোয়াও পেদ্রো। বক্সের ডান প্রান্ত থেকে হেডে তিনি গোলটি করেছেন আদিংগ্রার ক্রস থেকে।