বলা হয়, ‘আধুনিক ফুটবলের যাত্রা নন্দন থেকে বন্ধনের দিকে।’ সেই বন্ধন এখন যেন ফুটবলারদের জন্য হাঁসফাঁসের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে এ মৌসুমের সূচি নিয়ে ফুটবলারদের মধ্যে তৈরি হয়েছে ব্যাপক অসন্তোষ।
ঠাসা সূচি নিয়ে এরই মধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলিসন বেকার ও মানুয়াল আকাঞ্জির মতো ফুটবলাররা। অদূর ভবিষ্যতে ক্লান্তি ও বিরক্তি নিয়ে অকালে ফুটবল ছাড়ার কথাও ভাবতে শুরু করেছেন আকাঞ্জির মতো কেউ কেউ। শুধু এটুকুই নয়, এরই মধ্যে ঠাসা সূচিতে বিরক্ত খেলোয়াড়েরা ধর্মঘটে যেতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।
গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ তারকা রদ্রি বলেছেন, বারবার সূচি পরিবর্তনের কারণে তাঁরা এখন ধর্মঘটের কাছাকাছিও পৌঁছে গেছেন। এরই মধ্যে তাঁকে সমর্থন দিয়েছেন রিয়াল মাদ্রিদের গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। দ্রুত বিষয়গুলোর মধ্যে ভারসাম্য খোঁজার তাগিদও দিয়েছেন এই বেলজিয়ান তারকা।
এমন পরিস্থিতিতে খেলোয়াড়দের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেছেন রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি। আজ রিয়ালের এস্পানিওল ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে খেলোয়াড়দের সম্ভাব্য ধর্মঘট সম্পর্কে জানতে চাইলে আনচেলত্তি বলেছেন, ‘অভিযোগের কারণে এ মৌসুমের সূচি বদলাবে না। তবে এটা নিয়ে ভাবা গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি এটাও মনে রাখতে হবে, খেলোয়াড়েরা ক্লান্ত এবং তারা ফুটবলের ভবিষ্যৎ বদলাতে চায়। ম্যাচ কমানোর কারণে খেলোয়াড়দের বেতনও কমাতে হতে পারে, যা মেনে নিতে রিয়াল মাদ্রিদের খেলোয়াড়দের কোনো সমস্যা হবে না। লক্ষ্য হচ্ছে চোট এড়াতে কম ম্যাচ খেলা।’
উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফরম্যাটে পরিবর্তন এনেছে উয়েফা। প্রাথমিক পর্যায়ে দলগুলোকে দুটি ম্যাচ বেশি খেলতে হবে। আগের ছয় ম্যাচের পরিবর্তনে এখন খেলতে হবে আট ম্যাচ। যে কারণে সূচির জটিলতা ও ম্যাচ খেলার চাপও অনেক বেড়েছে।
বিষয়টি এখন কোনোভাবেই মানতে পারছেন না খেলোয়াড়েরা। অতিরিক্ত ম্যাচ খেলার চাপ বিষয়ে ম্যানচেস্টার সিটির স্প্যানিশ ডিফেন্ডার রদ্রি বলেছিলেন, ‘আমার মনে হয় এটা খেলোয়াড়দের সাধারণ মতে পরিণত হয়ে যে এভাবে চলতে থাকলে তাদের ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।’