লিভারপুলের হয়ে আর্নে স্লটের চ্যাম্পিয়নস লিগ অধ্যায় শুরু হলো জয় দিয়ে। এসি মিলানের মাঠে অ্যাওয়ে ম্যাচে লিভারপুলের জয় ৩–১ গোলে। লিভারপুলের জন্য ম্যাচের শেষটা যতটা স্বস্তিদায়ক ছিল, শুরুটা তেমন ছিল না।
তিন মিনিটের মাথায় শুরুটা যে হয়েছিল গোল খেয়ে। তবে গোল খেয়ে দমে যায়নি লিভারপুল। দারুণ প্রত্যাবর্তনে ম্যাচটা তারা জিতেছে দুর্দান্তভাবে। লিভারপুলের জয়ে গোল করেছেন ইব্রাহিমা কোনাটে, ভার্জিল ফন ডাইক ও দমিনিক সোবোসলাই।
মিলানের মাঠ সান সিরোতে শুরুতে করা গোলটি ছাড়া খুব কমই সুযোগ তৈরি করতে পেরেছে স্বাগতিকেরা। হুটহাট পাওয়া সেসব সুযোগ ছাড়া ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল লিভারপুলের হাতেই। ৫১ শতাংশ বলের দখল রেখে ম্যাচে লিভারপুল শট নেয় ২৩টি, যার ১১টিই ছিল লক্ষ্যে। বিপরীতে মিলান মাত্র ৮টি শট নিয়ে কেবল ১টি লক্ষ্যে রাখতে পারে।
ঘরের মাঠে ম্যাচের শুরুতেই কাছাকাছি গিয়ে গোলবঞ্চিত হয় মিলান। সে যাত্রায় লিভারপুলকে উদ্ধার করেন ভার্জিল ফন ডাইক। তবে তিন মিনিটের মাথায় ভুল করেননি ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। অনেকটা একক প্রচেষ্টায় লিভারপুল বক্সে ঢুকে দারুণ ফিনিশিংয়ে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। গোল খেয়ে জেগে ওঠার চেষ্টা করে লিভারপুল। পরপর কিছু আক্রমণও শানায় তারা। কিন্তু সমতাসূচক গোলটি মিলছিল না কোনোভাবেই।
এর মধ্যে ১৭ মিনিটে মোহাম্মদ সালাহর শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশ হতে হয় ‘অল রেড’দের। পরবর্তী সময়ে দ্রুত আরও কয়েকবার আক্রমণে যায় লিভারপুল। কিন্তু পাওয়া হয়নি কাঙ্ক্ষিত গোলটি। আক্রমণের ধারায় শেষ পর্যন্ত ২৩ মিনিটে ঠিকই ম্যাচে সমতা ফেরায় আর্নে স্লটের দল। ট্রেন্ট আলেক্সান্দার আরনল্ডের ফ্রি–কিকে জোরাল হেডে বল জালে জড়ান ডিফেন্ডার ইব্রাহিমা কোনাটে। একটু পর ম্যাচে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল লিভারপুল।
কিন্তু গোলরক্ষককে একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন দিয়েগো জোতা। ৩০ মিনিটের মাথায় আবারও সালাহর শট পোস্টে লাগলে গোলবঞ্চিত হয় লিভারপুল। ৪০ মিনিটে আবারও গোলবঞ্চিত হন সালাহ। এবার তাঁকে রুখে দেন মিলান গোলরক্ষক। তবে সালাহ না পেলেও দ্বিতীয় গোলটা ঠিকই পেয়ে যায় লিভারপুল। এবার কর্নার থেকে হেডে লক্ষ্যভেদ করেন অধিনায়ক ফন ডাইক। প্রথমার্ধের শেষ দিকে কোডি গাকপোর শট মিলান গোলরক্ষক ঠেকিয়ে না দিলে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত লিভারপুল।
বিরতির পরও ম্যাচে দাপট ধরে রাখে লিভারপুল। একের পর এক সুযোগ তৈরি গোলের কাছাকাছিও পৌঁছে যায় তারা। ৪৮ মিনিটে অল্পের জন্য গোল পায়নি স্লটের দল। এরপর চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন মিলানের নিয়মিত গোলরক্ষক মাইক মাইগনান। ৫৭ মিনিটে ফের গোলবঞ্চিত হয় লিভারপুল।
তবে আক্রমণের ধারায় ৬৭ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় লিভারপুল। কোডি গাকপোর সহায়তায় গোল করেন সোবোসলাই। ৩–১ গোলে এগিয়ে গিয়ে লিভারপুল অবশ্য ম্যাচটা তখনই একরকম শেষ করে দেয়। এরপর মিলান কিছু সুযোগ তৈরি করলেও তা ম্যাচে ফেরার জন্য মোটেই যথেষ্ট ছিল না। নতুন যুগের চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম ম্যাচেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্লটের লিভারপুল।