২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপের সবচেয়ে বড় চমক ছিল মরক্কো। সেবার আশরাফ হাকিমি-হাকিম জিয়েশদের দেশটি সবাইকে অবাক করে পৌঁছে গিয়েছিল সেমিফাইনালে। নজরকাড়া সেই পারফরম্যান্সের ধারা বিশ্বকাপের পরও ধরে রেখেছিল তারা। এ কারণে আফ্রিকান কাপ অব নেশনসেও অন্যতম ফেবারিট ধরা হচ্ছিল মরক্কোকে। দলে শক্তি, সামর্থ্য কিংবা তারকার অভাবও ছিল না।
কিন্তু সেই দেশই এবার অঘটনের শিকার হয়ে নেশনস কাপের শেষ ষোলো থেকে বিদায় নিয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গতকাল রাতে মরক্কো হেরেছে ২-০ গোলে। বিশ্বকাপের পর থেকে খেলা ১৩ ম্যাচের মাত্র ২টিতে হেরেছে মরক্কো। দুটি ম্যাচই তারা হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ ষোলোয় দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল দুটি করেছেন এভিডেন্স মাকগোপা ও তেবোহো মোকোয়েনা।
মরক্কোর বিদায়ের রাতটি সবচেয়ে বিভীষিকাময় ছিল দেশটির সবচেয়ে বড় তারকা আশরাফ হাকিমির জন্য। ম্যাচের ৮৪ মিনিটে পেনাল্টিতে গোল করার সুযোগ পেয়েও ব্যর্থ হন এই ডিফেন্ডার। গোলটি করতে পারলে তখনই সমতায় ফিরতে পারত মরক্কো। এ ছাড়া একই রাতে লাল কার্ড দেখে মাঠ ছেড়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা সোফিয়ান আমারবাতও।
মরক্কোর বিদায়ের মধ্য দিয়ে আফ্রিকান শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চে আরও একটি ফেবারিট দলের বিদায় হয়ে গেল। এর আগে গতবারের দুই ফাইনালিস্ট সেনেগাল ও মিসরও বিদায় নিয়েছে। বিদায় নিয়েছে আন্দ্রে ওনানার ক্যামেরুনও। এই তিন দল বিদায় নেওয়ায় মরক্কোর পথটাকে কিছুটাই সহজই মনে হচ্ছিল। কিন্তু সে সুযোগ লুফে নিতে ব্যর্থ হয়েছে তারা। শেষ ষোলোতেই শেষ পর্যন্ত থামতে হলো মরক্কোকে। শনিবার শেষ আটের লড়াইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা মুখোমুখি হবে কেপে ভার্দের।
আফ্রিকান ফুটবলের পাওয়ার হাউজ হিসেবে বিবেচিত হলেও নেশনস কাপে মরক্কো ধারাবাহিকভাবে হতাশ করেছে। তাদের দখলে থাকা একমাত্র শিরোপাটি এসেছিল ৪৮ বছর আগে। একই রাতের অন্য ম্যাচে বুরকিনা ফাসোকে ২-১ গোলে হারিয়েছে মালি, শনিবার যারা শেষ আটে খেলবে আইভরিকোস্টের বিপক্ষে।