আর্লিং হলান্ড হাসেননি, হাসেনি ম্যানচেস্টার সিটিও। লিগে গোল করাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলা হলান্ড লিভারপুলের বিপক্ষে গোল করতে পারেনি। নরওয়ে তারকা না পারলেও যার ফর্ম নিয়ে এত প্রশ্ন সেই মোহাম্মদ সালাহর গোলেই জয় পেল লিভারপুল। ঘরের মাঠ অ্যানফিল্ডে সিটিকে১-০ গোলে হারিয়েছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
ক্লপের ‘হেভিমেটাল ফুটবলের’ সুর-তাল সবই আর আগের মতো নেই। গত মৌসুমে যে ম্যানচেষ্টার সিটির সঙ্গেই শিরোপা লড়াই করেছিল দলটি, এই মৌসুমে সেই সিটি থেকে অনেকটাই পিছিয়ে ছিল লিভারপুল। মৌসুমের শুরুতেও শক্তির পার্থক্যও তেমন ছিল না। কিন্তু এবারের লিগ শুরু হতে না হতেই যেন পার্থক্য হয়ে ওঠে পাহাড়সম। একটা পরিসংখ্যান দিলে আরও স্পষ্ট হবে।
গত আসরে প্রথম আট ম্যাচে লিভারপুল যত পয়েন্ট পেয়েছিল, এবার তার চেয়ে ১২ পয়েন্ট কম পেয়েছে তারা। আর প্রথম ৯ ম্যাচে এবার সিটি গতবারের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে।
এমন সব সমীকরণ মাথায় নিয়ে খেলতে নেমে ম্যাচের শুরুটা ভালোই করে লিভারপুল। যদিও নিজস্ব ঢংয়ে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে খুব একটা দেরি করেনি পেপ গার্দিওলার দল। ম্যাচে তাদের দাপট দেখে গ্যারি নেভিল বলছিলেন—ম্যাচের প্রথম পাঁচ মিনিট ভালো করলেও, এই সিটি ম্যাচ একেবারেই শেষ করে দিবে।
১৫ মিনিটে প্রথম সুযোগ আসে হলান্ডের সামনে। যদিও সেটা কাজে লাগাতে পারেননি তিনি। ম্যাচের ১৪ মিনিটে দারুণ সুযোগ আসে লিভারপুলের সামনে। সালাহরা সে সুযোগ নষ্ট করেন। ৩৬ মিনিটে আবারও বড় সুযোগ পায় লিভারপুল। তবে এবারও ফিনিশ করতে পারেননি সালাহ। ম্যাচের প্রথমার্ধে কোনো দলই সুযোগ কাজে লাগাতে না পারায় ব্যবধান থাকে ০–০।
৫৩ মিনিটে গোল পান ফর্মের তুঙ্গে থাকা ফিল ফোডেন। তবে হলান্ডের করা ফাউলের কারণে গোলটি বাতিল করেন রেফারি। এরপর ম্যাচের ৭৬ মিনিটে গোল করেন সালাহ। চলতি মৌসুমে সিটির বিপক্ষে দুইবারের দেখায় দুটিই জিতল লিভারপুল। তিন ম্যাচ পর লিগে জয়ের দেখা পেল লিভারপুল। আর আসরে প্রথম হারের স্বাদ পেল গত বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিটি।
৯ ম্যাচে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের আটে লিভারপুল। ১০ ম্যাচে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে ম্যানচেস্টার সিটি।