জিনেদিন জিদানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা ফ্রান্স ফুটবল ফেডারেশনের (এফএফএফ) সভাপতি নোয়েল লে গ্রায়েতকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
আজ এফএফএফের কার্যনির্বাহী কমিটির জরুরি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গ্রায়েতের জায়গায় সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন ফিলিপে দিয়ালো। তিনি এত দিন সহসভাপতি পদে ছিলেন।
৮১ বছর বয়সী গ্রায়েত কয়েক দিন ধরে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছিলেন। দিদিয়ের দেশমকে ২০২৬ পর্যন্ত ফ্রান্স জাতীয় দলের দায়িত্ব দেওয়ার পর আরএমসি স্পোর্টসকে একটি সাক্ষাৎকার দেন গ্রায়েত। সেখানে প্রধান কোচের অন্যতম দাবিদার জিনেদিন জিদানকে নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বেশ কয়েকটি বিরূপ মন্তব্য করেন এফএফএফ প্রধান, যার একটি ছিল এ রকম, ‘জিদান যদি আমাকে ফোন করত, তাহলে কী হতো? নিশ্চিতভাবে কিছুই হতো না। আমি ওর ফোনই তুলতাম না।’
জিদান কোথায় কী করবেন, সেটিকে ‘পাত্তা’ দেন না মন্তব্য করে বর্তমান ও সাবেক ফুটবলারদের তোপের মুখে পড়েন তিনি। একপর্যায়ে দেশটির ক্রীড়ামন্ত্রী এমিলি ওদিয়া-কাস্তেরা গ্রায়েতকে জিদানের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। সেদিনই তিনি ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি দেন।
তবে আগে থেকে আরও এক অভিযোগে আলোচনার মধ্যে ছিলেন গ্রায়েত। তাঁর বিরুদ্ধে এফএফএফ কর্মীদের যৌন হয়রানির অভিযোগে তদন্ত করছে ফ্রান্স ক্রীড়া মন্ত্রণালয় গঠিত অডিট কমিশন। সব মিলিয়ে আজ জরুরি বৈঠক ডেকে গ্রায়েতকে সভাপতির পদ থেকে সরে যেতে বলে কার্যনির্বাহী কমিটি। পরে এফএফএফের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
প্যারিসে ফরাসি ফুটবল ফেডারেশনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে দেশমের চুক্তির মেয়াদ নিয়েও আলাপ হয়। ২০১২ সাল থেকে ফ্রান্স দলকে দেখভাল করে আসছেন ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। তাঁর সঙ্গে এফএফএফের চুক্তি ছিল ২০২২ বিশ্বকাপ পর্যন্ত।
কাতারে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপে রানার্সআপ হওয়ার পর দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করলে দেশমের সঙ্গে আগামী বিশ্বকাপ পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেন গ্রায়েত। ২০২৪ সালে নিজের মেয়াদ শেষ করতে যাওয়া গ্রায়েত আরও দুই বছরের জন্য কাউকে নিয়োগ দেওয়া নৈতিকতার মানদণ্ডে সঠিক কি না, এমন আলোচনা হয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে। শেষ পর্যন্ত দেশমের সঙ্গে চুক্তি নবায়নকে বৈধতা দেয় কমিটি।