এভাবেই ফিরে আসতে হয়, যেভাবে ফিরেছেন সেবাস্তিয়ান হলার। বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের এই স্ট্রাইকার কদিন আগেও লড়ছিলেন প্রাণঘাতী ক্যানসারের সঙ্গে, সেই খেলোয়াড়ই কাল মাঠে নেমে করলেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। বাসেলের বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ডর্টমুন্ডের ৬-০ গোলে জেতার পথে হলার একাই করেছেন ৩ গোল।
এর আগে ফরচুনা ডুসেলদর্ফের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে গত সপ্তাহে মাঠে ‘দ্বিতীয় জীবন’ শুরু করেন হলার। তাঁর ফেরার ম্যাচেও ডর্টমুন্ড পেয়েছে বড় জয়। সেদিন ফরচুনার বিপক্ষে ডর্টমুন্ড জিতেছিল ৫-১ গোলে।
মাঠে ফেরার আনন্দে উচ্ছ্বসিত হলার বলেছেন, ‘আমি আরও অনেক গোল করতে চাই। আমি আশাও করি অনেক গোল করতে পারব। আমি দলকে সাহায্য করতে চাই। আমি প্রতিদিনই আরও ভালো বোধ করছি। এটা দারুণ ব্যাপার যে আমি ফিরতে পেরেছি।’ একাদশে জায়গা পেতে লড়াইটা যে কঠিন হবে, তা জানা আছে হলারের, ‘আমি কোচের জন্য কাজটা যতটা সম্ভব কঠিন করতে চাই। কারণ, তার কাছে এখন আরও একজন স্ট্রাইকার আছে।’
এর আগে গত গ্রীষ্মের দলবদলে আয়াক্স থেকে বরুসিয়া ডর্টমুন্ডে এসেছিলেন হলার। তবে মাঠে নেমে কোনো ম্যাচ খেলার আগেই পান দুঃসংবাদ। টেস্টিকুলার (অণ্ডকোষ) ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার খবর পান আইভরি কোস্টের এই স্ট্রাইকার। তবে ক্যানসারের কাছে হার মানতে চাননি। ক্যানসারকে হারিয়ে মাঠে ফিরে এসেছেন দারুণভাবে। দ্বিতীয় সারির ক্লাব ফরচুনা ডুসেলদর্ফের বিপক্ষে ম্যাচে বদলি হিসেবে নামেন এই স্ট্রাইকার।
হলার এর আগে ছয় মাস ধরে লড়াই করেছেন ক্যানসারে সঙ্গে। আক্রান্ত হওয়ার পর দুবার অস্ত্রোপচার করার পাশাপাশি কেমোথেরাপির মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে হলারকে। এর মধ্যে দলের সঙ্গে শীতকালীন অনুশীলন ক্যাম্পে যোগ দিয়ে আলোচনায় আসেন ২৮ বছর বয়সী এই তারকা।
তখন এক সাক্ষাৎকারে ‘ভালো বোধ করছেন’ জানিয়ে হলার বলেছিলেন, ‘এই ছয় মাস আমার জন্য অনেক কঠিন ছিল। আমি এখানে অন্যদের সঙ্গে অনুশীলন করতে পেরে আনন্দিত। এটা মোটেই সহজ ছিল না। তবে এটাই আমার কাজ, আমি খেলাটাকে ভালোবাসি। তাই আমাকে ফিট থাকতে হবে।’
সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরলেও যে পুরোপুরি নির্ভার নন, তা-ও ফুটে উঠেছে হলারের কণ্ঠে, ‘এই ধরনের অসুস্থতার ক্ষেত্রে আপনি জানেন না ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে। আমাকে প্রতিটি দিন নিয়েই আলাদা করে ভাবতে হবে এবং নিজেকে ফিট রাখতে হবে।’