১০ দিন আগে বিশ্বকাপ ফাইনালে এক পাগলাটে রাত উপহার দিয়েছিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। আর্জেন্টিনার মুঠোয় চলে যাওয়া ম্যাচে দুই দফায় ফ্রান্সকে সমতায় নিয়ে এসেছিলেন। করেছেন হ্যাটট্রিকও। যদিও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হেরে বিশ্বকাপ ট্রফি আর হাতে তুলতে পারেননি এমবাপ্পে। নিজের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেও, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়াই করেও যে বিশ্বকাপ জিততে পারেননি, সেই যন্ত্রণা কি ভুলতে পেরেছেন ফ্রান্সের এই তারকা?
বুধবার রাতে পিএসজির হয়ে লিগ ‘আঁ’–তে খেলতে নেমেছিলেন ফরাসি ফরোয়ার্ড। ম্যাচের ৯৬তম মিনিটে গোল করে পিএসজিকে ২–১ ব্যবধানে জয় এনে দেন এমবাপ্পেই।
ক্লাব ফুটবলের চেনা অঙ্গনে ফিরে, আরেকবার নিজের সামর্থ্যের প্রমাণ দিয়ে কিছুটা কি হালকা লাগছিল এমবাপ্পের? হজম করতে পেরেছেন বিশ্বকাপ ফাইনালের ওই হার?
ম্যাচ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নে এমবাপ্পে দিলেন উত্তর, ‘ফাইনালের হার আমি কখনোই হজম করতে পারব না। আমি পিএসজি কোচ ও সতীর্থদের বলেছি, জাতীয় দলের ব্যর্থতার জন্য ক্লাব ভুগবে না। ফ্রান্সের হারের জন্য পিএসজি দায়ী নয়। যে কারণে আমি সর্বোচ্চ দম নিয়ে, ইতিবাচকভাবে ফিরেছি।’
২৪ বছর বয়সী এমবাপ্পে ২০১৮ সালেই বিশ্বকাপ ট্রফি হাতে তোলার সুযোগ পেয়েছেন। তবে সাফল্য–ক্ষুধায় আরও একবার খুব করে জিততে চেয়েছেন। লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামে তাঁর প্রতিপক্ষ ছিলেন পিএসজি সতীর্থ লিওনেল মেসি।
এমবাপ্পে জানালেন, ফাইনালের পরপরই মেসির সঙ্গে কথা হয়েছিল তাঁর, ‘ম্যাচের পর মেসির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছি। কারণ, গোটা ক্যারিয়ারজুড়ে সে এটার পেছনে ছুটেছে। আমার জন্যও ব্যপারটাই একই। তবে আমি এবার পারিনি।’