টানা দুটি ড্র—প্রথমটি লিভারপুলের সঙ্গে, দ্বিতীয়টিতে প্রতিপক্ষ ছিল আর্সেনাল। শিরোপা লড়াইয়ে দুই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীর সঙ্গে ড্র করার পর টানা দুই জয় পেল ম্যানচেস্টার সিটি। আগের ম্যাচে অ্যাস্টন ভিলাকে ৪–১ গোলে হারানোর পর আজ ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে গিয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটি। সেখানে ৩ মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে পেপ গার্দিওলার দল। এরপর টানা ৪ গোল করে ৪-২ ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে তারা।
এই জয়ে আর্সেনালকে পেছনে ফেলে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে গেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ৩১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট এখন ৭০। এক ম্যাচ কম খেলে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে আর্সেনাল। শীর্ষে থাকা লিভারপুলের পয়েন্ট ৩০ ম্যাচে ৭০।
সকাল সব সময় দিনের সঠিক পূর্বাভাস দেয় না—প্যালেসের বিপক্ষে ম্যাচটি যেন সেটাই আরেকবার দেখিয়ে দিল। তুমুল জমে ওঠা প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা-দৌড়ে সিটি নিজেদের ধরে রাখতে পারবে কি না—চারদিকে এমন আলোচনা চলছে। এর মধ্যেই প্যালেসের মাঠে খেলা শুরু হতে না হতেই পিছিয়ে পড়ে সিটি।
পিছিয়ে পড়ার পর যেন কেভিন ডি ব্রুইনা-আর্লিং হলান্ডের মনে পড়ে গেছে—তাঁরা সিটির খেলোয়াড়, যে দলটি প্রিমিয়ার লিগের টানা তিনবারের চ্যাম্পিয়ন। ৩ মিনিটে গোলটি খাওয়ার পর প্যালেসের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণের ঢেউ নিয়ে আছড়ে পড়তে থাকে সিটি।
আক্রমণের এই ধারাবাহিকতায় ১৩ মিনিটে গোল পেয়ে যায় গার্দিওলার দল। বাঁ প্রান্তে বক্সের বাইরে থেকে ডি ব্রুইনাকে বল বাড়ানোর চেষ্টা করেন জ্যাক গ্রিলিশ। কিন্তু বল প্যালেসের একজন খেলোয়াড়ের গায়ে লাগে। এরপরও অবশ্য সেটি ডি ব্রুইনার কাছে পৌঁছায়। বল পেয়ে একটু সামনে এগিয়ে দূরের পোস্টে শট নেন তিনি। তাকিয়ে সেটি গোলে ঢুকতে দেখা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না প্যালেসের গোলকিপারের।
গোল শোধের পরও আক্রমণের ধারা অব্যাহত রাখে সিটি। কিন্তু প্রথমার্ধে আর গোল পায়নি তারা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকেই রিকো লুইসের গোলে এগিয়ে যায় সিটি। ৪৭ মিনিটে এই গোলের জোগানদাতাও পরোক্ষে গ্রিলিশই। বাঁ প্রান্ত থেকে তিনি বক্সের মধ্যে বল পাঠান, হেডের মাধ্যমে সেই বল অ্যান্ডারসন দেন বক্সের মধ্যে থাকা লুইসকে। ঠান্ডা মাথায় বল জালে জড়ান তিনি।
টানা দুই ম্যাচ গোলহীন থাকা হলান্ড স্কোরশিটে নাম লেখান ৬৬ মিনিটে। তাঁর গোলটির জোগানদাতা ডি ব্রুইনা। তবে এখানেও জড়িয়ে আছে গ্রিলিশের নাম। বেলজিয়ান মিডফিল্ডারকে চমৎকারভাবে বল বাড়িয়েছিলেন গ্রিলিশ। বল নিজের আয়ত্তে নিয়ে ডি ব্রুইনা চূড়ান্ত পাসটি দেন হলান্ডকে।
ডি ব্রুইনা তাঁর দ্বিতীয় গোলটি করেন ৭০ মিনিটে। এ গোলটির সঙ্গেও জড়িয়ে আছে গ্রিলিশের নাম। বক্সের বাইরে ডি ব্রুইনার সঙ্গে দারুণভাবে ওয়ান-টু খেলে তিনি বল বাড়ান রদ্রিকে। আর রদ্রির পাস থেকেই গোলটি করেন ডি ব্রুইনা। ৮৬ মিনিটে এদুয়ার্দের গোলে ব্যবধান কমায় প্যালেস।