সর্বশেষ ম্যাচে লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও সের্হিও বুসকেতসকে ছাড়াই ভ্যাঙ্কুভারের বিপক্ষে জিতেছিল ইন্টার মায়ামি। আজ চেজ স্টেডিয়ামে আতালান্তা ইউনাইটেডের বিপক্ষে ম্যাচে ফিরেছিলেন মায়ামির এই তিন তারকাই।
তবে জিততে পারেনি মায়ামি, আতালান্তার বিপক্ষে হেরেছে ৩-১ গোলে। অথচ গত ৩১ মার্চের পর থেকে এই ম্যাচের আগ পর্যন্ত লিগে জয়হীন ছিল আতালান্তা। লিগে মায়ামি টানা ১০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার পর এই প্রথম হারল।
৬০ মিনিটের মধ্যেই মূলত ম্যাচের ভাগ্য অনেকটাই লিখে ফেলেন জর্জিয়ার মিডফিল্ডার সাবা লবজিনিচ। দুটি গোল করে আতালান্তাকে এগিয়ে দেন তিনি। ৬২ মিনিটে বাঁ পায়ের শটে দুর্দান্ত এক গোলে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেন মেসি। তবে ৭৩ মিনিটে জামাল তিয়ারে আরও একটি গোল করলে অনেকটা জয় নিশ্চিত করে ফেলে আতালান্তা।
গোল না পেলেও এই ম্যাচের অন্যতম নায়ক মেসির আর্জেন্টিনা জাতীয় দল সতীর্থ থিয়াগো আলমাদা। পুরো ম্যাচেই মায়ামির ডিফেন্ডারদের ভুগিয়েছেন আতালান্তা তারকা।
সর্বশেষ ম্যাচের বিশ্রামে থাকা মেসি চোট কাটিয়ে ১৯ মে অরল্যান্ডো সিটির বিপক্ষে ফিরেছিলেন। সেই ম্যাচে গোল পাননি। গোল পাননি মন্ট্রিয়লের বিপক্ষে ম্যাচেও। আজ ম্যাচের ৪ মিনিটের মধ্যেই গোল পেতে পারতেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তবে তাঁর হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে চলে যায়। লবজিনিচ প্রথম গোলটি করেন ম্যাচের ৪৪ মিনিটে। মাঝমাঠে থেকে বল টেনে বক্সের বাইরে থেকে দূরপাল্লার শটে গোল করেন এই মিডফিল্ডার। পরের গোলটিও করেন বক্সের বাইরে থেকে। ৫৯তম মিনিটে বাঁ পায়ের শটে।
তিন মিনিট পরই মেসি ব্যবধান কমান সেই চিরচেনা বাঁয়ের কোনাকুনি শটে। লিগে এটি মেসির ১১তম গোল, যা সুয়ারেজের সমান। ১২টি গোলও করিয়েছেন মেসি। ম্যাচের ৭৩ মিনিটে আলমাদার দুর্দান্ত এক পাসে সহজ গোল করেন তিয়ারে। এরপর আর মায়ামি ম্যাচে ফিরতে পারেনি। এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ মেসির গোল করা ম্যাচে তাঁর দল হেরেছে ২০২২ সালের বিশ্বকাপে, সৌদি আরবের বিপক্ষে। এক্সে এই তথ্য জানিয়েছেন ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানো।
এই ম্যাচ হারলেও ইস্টার্ন কনফারেন্স পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে মায়ামি। ১৭ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৩৪। এক ম্যাচ কম খেলা সিনসিনাটির পয়েন্ট ১৬ ম্যাচে ৩৩। তারাও সর্বশেষ ম্যাচে ২-০ গোলে হেরেছে ন্যাশভিলের কাছে।