সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)
সাভারে অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি)

এক মাসের মধ্যেই বিকেএসপির শাস্তি মওকুফ করল বাফুফে

দ্বিতীয় ও তৃতীয় বিভাগ ফুটবলে খেলোয়াড় জালিয়াতির অভিযোগ গত মাসে ঘরোয়া ফুটবল থেকে বিকেএসপিকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছিল বাফুফে। তবে এক মাসের মধ্যেই মওকুফ করা হয়েছে সে শাস্তি। বাফুফে কাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে।

এ ঘটনায় জড়িত থাকায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন বিকেএসপির দুই কোচ রবিউল ইসলাম ও শাহীনুল হক। এ ছাড়া চার ফুটবলারকে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল ছয় ম্যাচের জন্য। গতকাল বাফুফের আপিল কমিটি শাহীনুলের নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে। মওকুফ করা হয়েছে বিকেএসপির আর্থিক জরিমানাও। তবে শাস্তি মওকুফের আবেদন না করায় বহাল আছে রবিউল ও চার ফুটবলারের শাস্তি।

বিকেএসপিতে ভর্তিচ্ছুদের ভিড়। বাংলাদেশের খেলাধুলায় প্রতিষ্ঠানটির ভূমিকা অসামান্য

বিকেএসপির পরিচালক (প্রশিক্ষণ) কর্নেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান কাল প্রথম আলোকে বলেছেন, ‘আমরা শাস্তি মওকুফের জন্য আপিল কমিটির কাছে আবেদন করেছিলাম। যে কারণে শাস্তি দেওয়া হয়েছিল, আমরা মনে করি, প্রতিষ্ঠান হিসেবে সেই দায় আমাদের নয়। আমরা মনে করি, ব্যক্তির অপরাধে প্রতিষ্ঠান শাস্তি পেতে পারে না।’

অনূর্ধ্ব-১৭ তৃতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের জন্য চকবাজার ক্লাব বিকেএসপির খেলোয়াড় খেলাতে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে একটি চুক্তি করে। কিন্তু বিকেএসপির তিন ফুটবলার নিজেদের প্রকৃত নাম গোপন করে ভিন্ন নামে খেলে। যে নামে তারা খেলেছিল, সেই নামের ফুটবলাররা নিবন্ধিত হলেও বয়স কিংবা মানের সুবিধা নিতে তাদের নামে খেলানো হয় অন্য খেলোয়াড়দের।

দ্বিতীয় বিভাগে সেই তিন খেলোয়াড় আসল নাম ব্যবহার করে নিবন্ধিত হতে গেলে বিষয়টি বাফুফের নজরে আসে। এ জন্য বিকেএসপিকে প্রাথমিকভাবে সতর্ক করা হলেও আরেক খেলোয়াড়ের ক্ষেত্রেও তারা একই ঘটনা ঘটায়। পরে বাফুফে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়।