ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো
ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো

রোনালদোর শুরুর একাদশে না থাকার কারণ জানালেন পর্তুগিজ কোচ

ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো একাদশে থাকবেন তো? দল ঘোষণার আগে থেকেই এই প্রশ্ন ছিল। দল ঘোষণার পর সে প্রশ্নের উত্তর রোনালদো ভক্তদের পক্ষে আসেনি। সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে রোনালদোকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজান কোচ ফার্নান্দো সান্তোস।

২০০৪ সালের ইউরোতে রাশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের পর বড় টুর্নামেন্টে এই প্রথম ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে বেঞ্চে রেখে ম্যাচ শুরু করে পর্তুগাল। সেই ম্যাচের পর ডেড রাবার ম্যাচ ছাড়া আর কখনো শুরুর একাদশের বাইরে ছিলেন না পর্তুগিজ তারকা।

কাল রোনালদোর পরিবর্তে যিনি শুরুর একাদশে জায়গা পেয়েছেন তিনি তো নেমেই করেছেন বাজিমাত। পর্তুগালের হয়ে মাত্র চতুর্থ ম্যাচে মাঠে নামা গনসালো রামোস করেছেন হ্যাটট্রিক। বিশ্বকাপে প্রথমবার শুরুর একাদশে খেলতে নেমে হ্যাটট্রিক, আলোচনার কেন্দ্রে তো তাঁরই থাকার কথা। তবে যার জায়গায় শুরুর একাদশে খেলেছেন তাঁর নামটা যে রোনালদো, তাই ম্যাচ শেষে রোনালাদো শুরুর একাদশে না থাকা নিয়ে প্রশ্নের উত্তর দিতেই হলো সান্তোসকে।

সময়টা ভালো যাচ্ছে না রোনালদো

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সান্তোস বলেন, ‘এখনো কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার বাকি আছে। রোনালদোর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো, সব সময়ই ছিল। ১৯ বছর বয়স থেকে ওকে চিনি, ২০১৪ সালে আমি যখন পর্তুগালে আসি তখন জাতীয় দলে সে তারকা হয়ে উঠছে। রোনালদো ও আমার মধ্যে কোনো ভুল–বোঝাবুঝি নেই। আমি তাকে এখনো দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করি।’

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে রোনালদোকে তুলে নেন সান্তোস। মাঠ ছাড়ার সময় রোনালদোর অঙ্গভঙ্গি পছন্দ করেননি পর্তুগিজ কোচ। দলে না থাকার পেছনে এই ঘটনার কোনো প্রভাব আছে কি না, এমন প্রশ্নও উঠেছিল।

যদিও সান্তোসের দাবি, রোনালদোর শুরুর একাদশে না থাকার পেছনে সেই ঘটনার কোনো প্রভাব নেই। পর্তুগিজ এই কোচ বলেন, ‘শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপার এরই মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। রোনালদো অতীতে কী করেছে সেটা দেখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সে অন্যতম সেরা ফুটবলার। আর আমাদের এক সঙ্গেই কাজটা করতে হবে।’

চলতি মৌসুমে শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্কোয়াড থেকেও বাদ পড়েছিলেন রোনালদো।